বর্তমান সময়ে সকলের পায়ে দেখা যায় ফ্লিপ ফ্লপ বা ফ্ল্যাট স্যান্ডেল। সহজে চলাফেরা করার জন্য এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য আদর্শ হিসেবে ধরা হয় ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেলকে। ফ্ল্যাট হবার কারণে সারাদিন আরামে ও নির্ঝঞ্ঝাটভাবে চলাফেরা করার জন্য সবাই এই ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন। সারাদিনে চলাফেরায় আরামদায়ক অনুভূতি দিলেও এই ফ্ল্যাট স্যান্ডেল কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যাবহার করা উচিত হবেনা। কারণ দীর্ঘসময় ফ্ল্যাট স্যান্ডেল ব্যবহার করলে পায়ের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে।
আমাদের পদযুগল আমাদের দেহের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি বলে বিবেচিত হয়। এদেরকে আমাদের শরীরের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। আমাদের এই পদযুগল শুধু হাঁটার জন্য নয়, এই দুই পা আমাদের শরীরের সম্পূর্ণ ওজনটাও কিন্তু বহন করে চলে। তাই পায়ের কোন ক্ষতি হলে তার সরাসরি প্রভাব আমাদের শরীরেও দেখা যাবে। পায়ের সামান্য সমস্যা দেখা দেবার পরে সময়মত চিকিৎসা না হলে তা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের কোমর ও শরীরের নানা জয়েন্টে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমাদের পায়ের উপরে চাপ পড়ে এমন কিছু করা উচিত নয়।
কিন্তু আমরা যখন দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লিপ ফ্লপ ব্যবহার করি তখন আমাদের পায়ের নানা অংশের উপরে আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের চাপ পড়ে যা থেকে পায়ের নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। আসুন জেনে নেই আমরা যখন একজোড়া ফ্লিপ ফ্লপ ব্যাবহার করি তখন আমাদের পায়ের কোন অংশ কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে-
১ .পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিঃ
শুধুমাত্র একটি মাত্র ফিতা দ্বারা স্যান্ডেলটি পায়ের সাথে আটকানো থাকে। আর এই স্যান্ডেল পায়ে ঠিক জায়গায় ধরে রাখার কাজটি করে আমাদের পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি। দীর্ঘ সময় ধরে এই স্যান্ডেলের ব্যবহার বৃদ্ধাঙ্গুলির মাসলে টেনশনের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় মাসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও হতে পারে টেন্ডিনাইটিস অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুলির মাসল যেখানে হাড়ের সাথে যুক্ত হয় সেখানে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও হ্যামার টো- এর মত সমস্যা অর্থাৎ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি ভাজ করার সময় এক ধরনের ঘর্ষণ তৈরি হওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এতে ধীরে ধীরে বৃদ্ধাঙ্গুলির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এক সময়ে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি হয়ে যায়।
২. হাড়ের সমস্যাঃ
দীর্ঘদিন ধরে ফ্লিপ ফ্লপের ব্যবহারে হতে পারে হাড়ের সমস্যা। দীর্ঘ সময় ধরে পাতলা একজোড়া স্যান্ডালে ফ্ল্যাটভাবে হাঁটার ফলে পায়ের অভ্যন্তরের ছোট ছোট হাড়ের উপরে টেনশনজনিত ফ্র্যাকচার হতে পারে। ফ্ল্যাটভাবে হাঁটার কারণে পায়ের হাড়ের উপরে সরাসরি শরীরের চাপ পড়ে ফলে পায়ের নানা হাড়ে নানা রকম সমস্যা হয়।
৩. পায়ের পাতাঃ
আমরা যখন সারাদিন হেঁটে বা দাঁড়িয়ে কাজ করে থাকি তখন হাঁটাহাঁটি করার ফলে আমাদের পায়ের পাতা পা পায়ের তলার সাথে ফ্লিপ ফ্লপের সার্ফেসের ঘর্ষণ হয়। ফলে পায়ের পাতাতে এক জ্বলনের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় পায়ের পাতাতে ফোস্কাও পড়ে যায়।
৪. বৃদ্ধাঙ্গুলির মাঝের ফাঁকা স্থানঃ
অন্যান্য স্যান্ডেল বা জুতার মত সম্পূর্ণ পা ঢেকে রাখেনা ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল শুধু মাত্র পায়ের পাতা ঢেকে রাখা ছাড়া। আবার এই স্যান্ডেল ধরে রাখতেও ব্যবহার করতে হয় ফিতা যা বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তার পাশের আঙ্গুলের মাঝখান দিয়ে পরিধান করতে হয়। তাই এই জাতীয় স্যান্ডেল দীর্ঘ সময় পরিধান করলে এই ফিতার আঘাতে আঙ্গুলদ্বয়ের মাঝে জ্বলনের সৃষ্টি হয়। ফোস্কাও পড়তে পারে।
৫. পায়ের আর্চ বা বাঁকা স্থানঃ
পায়ের মাঝ বরাবর বাঁকা যে স্থান থাকে তাকেই বলে পায়ের আর্চ। এই স্থান আমাদের ভারসাম্য রক্ষা ও হাঁটার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বাঁকা ধনুকের মত অংশ যে টিস্যু তৈরি করে তাকে বলে প্ল্যানটার ফেসিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে পাতলা ও সমতল ও বিশেষ কোন সাপোর্ট ছাড়া স্যান্ডেল ব্যবহার করলে এই প্ল্যানটার ফেসিয়াতে এক ধরনের জ্বলনের সৃষ্টি হয়। এর থেকে সৃষ্টি হয় প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস পা পায়ের বাঁকা অংশে তীব্র ব্যাথা।
৬. পায়ের গোড়ালির নিচের অংশঃ
পায়ের আর্চ-এর মত প্ল্যানটার ফ্যাসিটিসের কারণে পায়ের গোড়ালিতেও হতে পারে তীব্র ব্যাথা শুধু মাত্র দীর্ঘ সময় ধরে সমতল স্যান্ডেল ব্যাবহার করলে। যদি পায়ের গড়ালিতে ভোতা চাপা ব্যথা বা ক্ষেত্র বিশেষে তীক্ষ্ণ ব্যথা হয় তবে বুঝতে হবে তা এই কারনেই হচ্ছে। এছাড়াও পায়ের হিল হাঁটার সময় বারবার ফ্লিপফ্লপের সার্ফেস ছেড়ে উঠানামা করার কারণে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে।
৭. গোড়ালি ও উপরের অংশঃ
যখন কেউ সাধারণ জুতার বদলে খোলা ধরনের ফ্লিপ ফ্লপ ব্যবহার করে তখন পায়ের গোড়ালি ও তার উপরের অংশে ব্যথা হতে পারে। কারণ ফ্লিপ ফ্লপ পরলে সাধারণত কেউ যেভাবে চলাফেরা করে তার চাইতে ছোট পদক্ষেপ ফেলে চলাচল করতে বাধ্য হয় পর্যাপ্ত সাপোর্ট না পাবার কারণে। আর যখন সাধারণ হাঁটার নিয়মের ব্যাতয় ঘটে তখন পায়ে ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক হবেই।
৮. ব্যাক্টেরিয়াঃ
এছাড়াও খোলা সার্ফেসের কারনে পায়ের ত্বকে ও শরীরে নানা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। একজোড়া ফ্লিপ ফ্লপ সাধারণত ঘরে ১৮,০০০-এর মত ব্যাকটেরিয়া নিয়ে আসতে পারে।
তাই শুধু সাময়িক আরামের জন্য দীর্ঘ সময় ফ্লিপ ফ্লপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। স্বল্প দূরত্ব এবং কম হাঁটতে হবে এমন স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে ফ্লিপ ফ্লপের। তবে তার মানে এই নয় যে উঁচু জুতো পরতে হবে। বরং একেবারে সমতল জুতো না কিনে বেছে নিন স্বল্প উচ্চতার জুতো। দীর্ঘ সময়ের জন্য এমন জুতা বা স্যান্ডেল খুঁজে নিন, যা শুধু আরামদায়ক হবে তাই নয় আপনার শারীরিক কষ্টের কারণ হয়েও দাড়াবেনা।
আমাদের পদযুগল আমাদের দেহের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি বলে বিবেচিত হয়। এদেরকে আমাদের শরীরের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। আমাদের এই পদযুগল শুধু হাঁটার জন্য নয়, এই দুই পা আমাদের শরীরের সম্পূর্ণ ওজনটাও কিন্তু বহন করে চলে। তাই পায়ের কোন ক্ষতি হলে তার সরাসরি প্রভাব আমাদের শরীরেও দেখা যাবে। পায়ের সামান্য সমস্যা দেখা দেবার পরে সময়মত চিকিৎসা না হলে তা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের কোমর ও শরীরের নানা জয়েন্টে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমাদের পায়ের উপরে চাপ পড়ে এমন কিছু করা উচিত নয়।
কিন্তু আমরা যখন দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লিপ ফ্লপ ব্যবহার করি তখন আমাদের পায়ের নানা অংশের উপরে আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের চাপ পড়ে যা থেকে পায়ের নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। আসুন জেনে নেই আমরা যখন একজোড়া ফ্লিপ ফ্লপ ব্যাবহার করি তখন আমাদের পায়ের কোন অংশ কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে-
১ .পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিঃ
শুধুমাত্র একটি মাত্র ফিতা দ্বারা স্যান্ডেলটি পায়ের সাথে আটকানো থাকে। আর এই স্যান্ডেল পায়ে ঠিক জায়গায় ধরে রাখার কাজটি করে আমাদের পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি। দীর্ঘ সময় ধরে এই স্যান্ডেলের ব্যবহার বৃদ্ধাঙ্গুলির মাসলে টেনশনের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় মাসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও হতে পারে টেন্ডিনাইটিস অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুলির মাসল যেখানে হাড়ের সাথে যুক্ত হয় সেখানে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও হ্যামার টো- এর মত সমস্যা অর্থাৎ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি ভাজ করার সময় এক ধরনের ঘর্ষণ তৈরি হওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এতে ধীরে ধীরে বৃদ্ধাঙ্গুলির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এক সময়ে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি হয়ে যায়।
২. হাড়ের সমস্যাঃ
দীর্ঘদিন ধরে ফ্লিপ ফ্লপের ব্যবহারে হতে পারে হাড়ের সমস্যা। দীর্ঘ সময় ধরে পাতলা একজোড়া স্যান্ডালে ফ্ল্যাটভাবে হাঁটার ফলে পায়ের অভ্যন্তরের ছোট ছোট হাড়ের উপরে টেনশনজনিত ফ্র্যাকচার হতে পারে। ফ্ল্যাটভাবে হাঁটার কারণে পায়ের হাড়ের উপরে সরাসরি শরীরের চাপ পড়ে ফলে পায়ের নানা হাড়ে নানা রকম সমস্যা হয়।
৩. পায়ের পাতাঃ
আমরা যখন সারাদিন হেঁটে বা দাঁড়িয়ে কাজ করে থাকি তখন হাঁটাহাঁটি করার ফলে আমাদের পায়ের পাতা পা পায়ের তলার সাথে ফ্লিপ ফ্লপের সার্ফেসের ঘর্ষণ হয়। ফলে পায়ের পাতাতে এক জ্বলনের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় পায়ের পাতাতে ফোস্কাও পড়ে যায়।
৪. বৃদ্ধাঙ্গুলির মাঝের ফাঁকা স্থানঃ
অন্যান্য স্যান্ডেল বা জুতার মত সম্পূর্ণ পা ঢেকে রাখেনা ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল শুধু মাত্র পায়ের পাতা ঢেকে রাখা ছাড়া। আবার এই স্যান্ডেল ধরে রাখতেও ব্যবহার করতে হয় ফিতা যা বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তার পাশের আঙ্গুলের মাঝখান দিয়ে পরিধান করতে হয়। তাই এই জাতীয় স্যান্ডেল দীর্ঘ সময় পরিধান করলে এই ফিতার আঘাতে আঙ্গুলদ্বয়ের মাঝে জ্বলনের সৃষ্টি হয়। ফোস্কাও পড়তে পারে।
৫. পায়ের আর্চ বা বাঁকা স্থানঃ
পায়ের মাঝ বরাবর বাঁকা যে স্থান থাকে তাকেই বলে পায়ের আর্চ। এই স্থান আমাদের ভারসাম্য রক্ষা ও হাঁটার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বাঁকা ধনুকের মত অংশ যে টিস্যু তৈরি করে তাকে বলে প্ল্যানটার ফেসিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে পাতলা ও সমতল ও বিশেষ কোন সাপোর্ট ছাড়া স্যান্ডেল ব্যবহার করলে এই প্ল্যানটার ফেসিয়াতে এক ধরনের জ্বলনের সৃষ্টি হয়। এর থেকে সৃষ্টি হয় প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস পা পায়ের বাঁকা অংশে তীব্র ব্যাথা।
৬. পায়ের গোড়ালির নিচের অংশঃ
পায়ের আর্চ-এর মত প্ল্যানটার ফ্যাসিটিসের কারণে পায়ের গোড়ালিতেও হতে পারে তীব্র ব্যাথা শুধু মাত্র দীর্ঘ সময় ধরে সমতল স্যান্ডেল ব্যাবহার করলে। যদি পায়ের গড়ালিতে ভোতা চাপা ব্যথা বা ক্ষেত্র বিশেষে তীক্ষ্ণ ব্যথা হয় তবে বুঝতে হবে তা এই কারনেই হচ্ছে। এছাড়াও পায়ের হিল হাঁটার সময় বারবার ফ্লিপফ্লপের সার্ফেস ছেড়ে উঠানামা করার কারণে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে।
৭. গোড়ালি ও উপরের অংশঃ
যখন কেউ সাধারণ জুতার বদলে খোলা ধরনের ফ্লিপ ফ্লপ ব্যবহার করে তখন পায়ের গোড়ালি ও তার উপরের অংশে ব্যথা হতে পারে। কারণ ফ্লিপ ফ্লপ পরলে সাধারণত কেউ যেভাবে চলাফেরা করে তার চাইতে ছোট পদক্ষেপ ফেলে চলাচল করতে বাধ্য হয় পর্যাপ্ত সাপোর্ট না পাবার কারণে। আর যখন সাধারণ হাঁটার নিয়মের ব্যাতয় ঘটে তখন পায়ে ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক হবেই।
৮. ব্যাক্টেরিয়াঃ
এছাড়াও খোলা সার্ফেসের কারনে পায়ের ত্বকে ও শরীরে নানা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। একজোড়া ফ্লিপ ফ্লপ সাধারণত ঘরে ১৮,০০০-এর মত ব্যাকটেরিয়া নিয়ে আসতে পারে।
তাই শুধু সাময়িক আরামের জন্য দীর্ঘ সময় ফ্লিপ ফ্লপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। স্বল্প দূরত্ব এবং কম হাঁটতে হবে এমন স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে ফ্লিপ ফ্লপের। তবে তার মানে এই নয় যে উঁচু জুতো পরতে হবে। বরং একেবারে সমতল জুতো না কিনে বেছে নিন স্বল্প উচ্চতার জুতো। দীর্ঘ সময়ের জন্য এমন জুতা বা স্যান্ডেল খুঁজে নিন, যা শুধু আরামদায়ক হবে তাই নয় আপনার শারীরিক কষ্টের কারণ হয়েও দাড়াবেনা।
Tidak ada komentar: ফ্ল্যাট স্যান্ডেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি!
Posting Komentar