রোমান্টিক সম্পর্কের গবেষকরা ভালোবাসা টিকে থাকা আর টিকিয়ে রাখা নিয়ে গবেষণা করেছেন বহু।
গবেষক নাথানিয়েল ব্রান্ডেন ও রবার্ট স্টার্নবার্গের গবেষণায় এমন ১০টি উপায় বাতলানো হয়েছে যাতে ভালোবাসার মানুষ সুখী হয়।
গবেষক নাথানিয়েল ব্রান্ডেন ও রবার্ট স্টার্নবার্গের গবেষণায় এমন ১০টি উপায় বাতলানো হয়েছে যাতে ভালোবাসার মানুষ সুখী হয়।
১. যদিও এটা সত্য যে কাজ সব সময়ই বলার চেয়ে উচ্চ স্বরে কথা বলে। তবুও বলা মাঝে মাঝে কাজ এর চেয়ে স্পষ্টতা নিয়ে আসে। সঙ্গীর প্রতি আপনার অনুভূতিকে বলায় পর্যবসিত করার প্রতিটি সুযোগই কাজে লাগানো উচিত। আমি তোমায় ভালবাসি বা তুমিই আমার পৃথিবী এ ধরণের সাধারণ কথাবার্তাও আপনার সম্পর্ককে প্রত্যাশিত, আকাঙ্ক্ষিত এবং নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।
২. সঙ্গীর কোন গুণটিকে আপনি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন, তা তাকে নিয়মিত জানতে দিন। এমন গুণ, যার প্রশংসা আপনি করেন, যা আপনাকে গর্বিত করে। আপনার দৃষ্টিতে এসবের শক্তি কোন জায়গায় তাও তাকে বলুন। একটি রোমান্টিক সম্পর্ক কেবল শুরুর সম্পর্ক নয়। এটি মানুষকে তাদের জীবনকালব্যাপী এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। তাই আপনার সঙ্গীর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দিকটি বিকাশে সহযোগিতা করে তার জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা দিন।
৩. সঙ্গীর পিঠে হাত বুলিয়ে দেওয়া, সোফায় বসলে কাঁধের উপর দিয়ে হাত দেওয়া, পাশাপাশি বসলে থাইতে হাত রাখা, হাঁটার সময় তার হাত ধরা ইত্যাদি আপনার সঙ্গীকে ভালবাসার উষ্ণ পরশ বুলিয়ে দেবে। এটা এমন ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে যা আপনি সত্যিই তার জন্য অনুভব করেন। এই ধরনের ছোট ছোট পরশগুলো দীর্ঘ রাতের যৌন সম্পর্কের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
৪. আপনার পছন্দ-অপছন্দ, স্বপ্ন-ভয়, অর্জন-ভুল বা অন্য যে কোন কিছুই কেবল আপনার নয়। এটা যদি আপনার নিকট কোন গুরুত্ব পায়, তাহলে তা অবশ্যই আপনার সঙ্গীকে বলুন। এটা নিশ্চিত করুন যেন, আপনার সঙ্গীর সঙ্গেই আপনার শেয়ারিংয়ের মাত্রাটি সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে এ কথাটিও মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে কাছের অন্তরঙ্গ সম্পর্কেও মানুষের ব্যক্তিগত স্পেসের প্রয়োজন হয়। এ কথাটি মনে রেখে আপনাকে এবং আপনার সময়ের সর্বাধিক পরিমাণ তার সঙ্গে শেয়ার করুন।
৫. চাকরি হারানো বা কোন প্রিয়জনের মৃত্যুর মতো মানুষের জীবনের বড় কোন চ্যালেঞ্জেতো আপনি অবশ্যই আপনার সঙ্গীর পাশে থাকবেন। তবে জীবনের ছোট ছোট প্রয়োজনেও তার পাশে থাকা প্রয়োজন। সম্পর্কটি যেন কোনভাবেই এমন না হয়ে যায় যে, আপনারা কেবল একই ছাদের নিচে বসবাস করছেন। অবশ্যই কোন ধরনের শারীরিক নির্যাতন বা বকাঝকা করা যাবে না। ঝগড়া দেখা দিলে নিচু স্বরে কথা বলুন। কোন বিষয়ে সে বিরক্ত হয়, সেটি জানতে চেষ্টা করুন। তার প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। তাকে সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করুন। এমন কি সেটা যদি এমন হয় যে, আপনি তাকে দয়া করছেন, তাহলেও তাকে জিজ্ঞেস করুন, এটা তার প্রয়োজন কি-না।
৬. আপনার সঙ্গীকে উপহার দিন। সেটা সব সময় অনেক বড় কিছু হতে হবে এমন নয়। সেটা একটি বই, তার পছন্দসই কোন মিষ্টান্ন, কম দামের একটি গহনা বা পোশাকও দিয়েও এটা করা যেতে পারে। তুচ্ছ বা বড় যাই হোক, তাকে কেবল বুঝতে দিন যে, আপনি তার সম্পর্কে ভাবছেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ছোট একটি চিরকুটে জানিয়ে যেতে পারেন, আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন। অফিসে ভীষণ ব্যস্ততার মাঝেও আমি তোমাকে ভালবাসি- এই এসএমএসই তাকে পাঠাতে পারেন নতুন করে। এ সবের মাধ্যমে আপনার সঙ্গী আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে তৃপ্তি ও নিরাপত্তার অনুভূতিতে থাকবে।
৭. আপনি যতই ব্যস্ত হোন না কেন, সপ্তাহে একটি বা দু’টি বিকেল তার সঙ্গেই কাটান। আপনার নতুন অভিজ্ঞতাগুলো, নতুন গল্পগুলো তাকে বলুন।
৮. বিশাল ও সীমাহীন চাহিদা হচ্ছে, যে কোন সম্পর্কের বড় হন্তারক। আপনার বিবাহিত সঙ্গী রোবট নয় যেন তিনি সকল মানবিক ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার সীমার ঊর্ধ্বে থাকবেন।
৯. সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন কিছু মেনে নিতে হচ্ছে এমনটা না হওয়া। আপনাদের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে প্রাত্যহিক জীবনে ছোট ছোট অনেক কিছু আপনার সঙ্গী আপনার জন্য করে থাকে, সেই সব আশীর্বাদের কথা স্মরণ করুন।
১০. সম্পর্কে আপনারা সোনালি নীতি অনুসরণ করুন। সঙ্গীর জন্য সেসব বিষয়কে পছন্দ করুন, যা আপনি নিজের জন্য পছন্দ করেন। এমন কিছু প্রত্যাশা করবেন না, যার বিনিময় দিতে আপনি অনিচ্ছুক।
Tidak ada komentar: ভালোবাসার মানুষকে সুখী করার ১০ উপায়
Posting Komentar