এ বিষয়ের ইতিবাচক দিক নিয়েই পরকিয়া প্রেমের রোমান্স জগতের কথা। আজকের সমাজে নানাবিধ সমস্যার ভীরে বিবাহ বহির্ভুত সেক্স একটি গুরুত্বপুর্ন সমস্যা। যে ছেলেটার হোমওয়ার্ক নিয়ে ভাবার কথা সে, ভাবছে তার না পাওয়া বান্ধবীটিকে নিয়ে। যে মেয়েটার জীবন গড়ার জন্য কাজ করার কথা, সে জড়িয়ে যাচ্ছে অযাচিত স্ক্যণ্ডালে। আবার যে পুরুষ কিংবা নারীটির সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, সে পড়ে থাকছে পরকিয়া নামক নিষিদ্ধ রোমান্সের জগতে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এসবের পেছনে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে নারী-পুরুষের শারীরিক সম্পর্কটি।
একটা গ্রাম্য প্রবাদ আছে ” পেট আর চেট (শিশ্ন) এর জন্যই দুনিয়ার যত কাজকারবার।” কিন্তু আমরা পেটের কথা ভুলে অধিকাংশ সময় ব্যয় করছি চেটের পেছনে। একটু কি ভাবনার বিষয় নয়? আমাদের সমাজে বিভিন্ন নিয়ম-কানুনের দ্বারা বিবাহ বহির্ভুত শারীরিক সম্পর্ককে অবৈধ করা হয়ছে। এটি শুধুই সামান্য একটি ছোটখাট অপরাধ নয়, রীতিমত জঘন্য একটি পাপ। এমন কাজে কারো জড়িয়ে পরাকে তার জীবনের চরম অধপতন হিসেবে গন্য করা হয়। তদোপরি আছে ধর্মের বাধা ও নরকবাসের ভয়। এতকিছু দিয়ে এহেন অবৈধ কাজটিকে থামিয়ে রাখা যাচ্ছে কি? কে কি বলবেন জানি না, কিন্তু এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, সমাজের একটা বিরাট অংশ এ কাজে এখনো জড়িত আছে। পেপার পত্রিকায় আসা খবর, কিংবা মোবাইলে স্ক্যন্ডালগুলোকে রেফারেন্স ধরলেও সংখ্যাটা কম না। আর অপ্রকাশিত ও না জানা ঘটনাগুলোর কথা না হয় বাদই দেয়া গেলো।
যে বয়সে একটা ছেলের স্কুলের পড়া আর হোমওয়ার্ক নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকার কথা, তাকে আমর দেখতে পাই পাড়ার চায়ের স্টলে কোন মেয়ের অপেক্ষায় বসে আছে। এক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে ইভটিজিং নামক অপরাধে। এই ছেলেটি যার জন্য বসে আছে, সেই মেয়েটিকে যদি তার সাথে মিলিয়ে দেয়া যায়, দেয়া যায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ, তাহলে ছেলেটি কয়বার, কতদিন স্টলে আর পাড়ায় আড্ডায় জড়াবে? জড়াবে কি ইভটিজিং-এর মত সামাজিক অপরাধে? ধর্ষনের ক্ষেত্রেও কি এই কথাটা প্রয়োগ করা যায় না?
সেক্সকে এমন ফ্রি করে দিলে সতীত্বের প্রশ্নটা চলে আসে। সতীত্ব কি শারীরিক? না কি মানসিক? মানসিক না হলে ধর্ষিতাকে অসতী আখ্যা দেয়াটাও যুক্তিযুক্ত নয় কি? আবার, সতীত্ব যদি মানসিক ব্যপার হয়, তাহলেও প্রশ্ন থেকে যায়। সমাজে এমন কোন নারী কিংবা পুরুষ কি পাওয়া যাবে যারা জীবনে একবারো স্বপ্নদোষ নামক ব্যধিতে আক্রান্ত হননি? স্বপ্নদোষের সঙ্গমে কেউ কি তার বিবাহিত স্বামী কিংবা স্ত্রীর সাথেই মিলিত হন? স্বপ্নদোষে সতীত্ব নষ্ট না হলে মানসিক সতীত্বের ধারনা কতটুকু গ্রহনযোগ্য?
এবার আসা যাক বিভিন্ন বিধি নিষধের ব্যপারগুলোতে। বিভিন্ন ধর্ম ও শাস্ত্রে বিবাহ বহির্ভুত শারীরিক সম্পর্ককে মারাত্নক একটি পাপ বলে গন্য করা হয়েছে। কোন কোন ধর্মে এর শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে, তদোপরি নরকবাস তো আছেই। অন্যদিকে রাষ্ট্র এমন কাজকে অসামাজিক হিসেবে গন্য করেছে, শাস্তির বিধানও রেখেছে। কথা হলো এমন বিধি নিষেধ ও শাস্তির ভয় কি আদতেই মানুষকে এহেন অবৈধ কর্ম থেকে বিরত রাখতে পারছে? পারছে যে না তার ভুরি ভুরি উদাহরন আমাদের সমাজে বিদ্যমান। মানুষ যদি এসব নিয়ম বিধান না’ই মানে অথবা মানতে না পারে তাহলে এমন বিধি ঘাড়ে চাপিয়ে রাখার যৌক্তিকতা কতটুকু? এতে বরং অপরাধবোধে ভোগার মাধ্যমে মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুকিই বাড়ছে দিন দিন।
দেশের অধিকাংশ পরিবারই তো পরকিয়া সমস্যায় জড়িত। বিশেষ করে, প্রবাসী স্বামীর স্ত্রীদের প্রায় ৯০% পরকিয়ায় জড়িত। ধরাপরা পরিবারগুলো কি খুব শান্তিতে আছে? স্বামী বিদেশে থাকায় শশুরবাড়ির লোকজন স্ত্রীটিকে তেমন কিছু বলতেও পারেনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্ত্রী থাকেন বাবার বাড়িতে, অনেক পরিবারে বাবারা বাড়ির লোকেরা শারীরিক সম্পর্কের জন্য সাহায্যও করে থাকে। এমনও ঘটনা আছে যে, বাবা-মা নিজে মেয়েটিকে এমন সঙ্গমের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বেচারা স্বামীর কানে এসব কথা গেলেও, স্ত্রীর কথাই বিশ্বাস করে, কিন্তু ভোগে অন্তর্দহনে।
Tidak ada komentar: পরকিয়া প্রেমের রোমান্স
Posting Komentar