বিবাহিত দম্পতিদের জন্য একই অফিসে একসঙ্গে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে কিছু কিছু সমস্যার কারনে। কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে একসাথে একই অফিসে কাজ করার সুবিধাগুলো আড়ালে থেকে যায়। বিবাহ পরামর্শদাতা ডঃ সঞ্জয়ের মতে, একই সাথে একই অফিসে কাজ করা বৈবাহিক সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারে। একই ডিপার্টমেন্টে কাজ করলে তা প্রফেশনাল কাজে বাঁধা প্রদান করে থাকে। কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক পৃথক রাখা অনেক কঠিন হয়ে যায়। এছাড়া প্রতিযোগিতার মনোভাবের কারণে পরস্পরের প্রতি বিরূপ মনোভাবের উৎপত্তি ঘটতে পারে।
যাইহোক, এই দ্বন্দ্ব সত্বেও, সফলভাবে একসাথে কাজ এবং কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক পৃথক রেখে সফলতা পাওয়ার অনেক উপায় আছে। আর উপায় গুলোই সুখী দাম্পত্যের রহস্য।
পরস্পরের কাজে ও সম্পর্কে অযাচিত হস্তক্ষেপ করবেন না
শুধুমাত্র দম্পতি হওয়ার কারনে একজন আরেকজনকে তার কাজ নিয়ে উপদেশ দেয়া থেকে বিরত থাকুন। তার কাজ তিনি ভালোই বোঝেন, এটুকু বিশ্বাস রাখুন। অপরদিকে এটাও মাথায় রাখুন যে আপনি যেমন কলিগদের সাথে মিশতে বাধ্য, একইভাবে তিনিও। অযথাই স্বামী/স্ত্রীকে নিয়ে কলিগদের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কথা মাথায় আনবেন না। এবং এর প্রেক্ষিতে কলিগদের মধ্যে এর সাথে কথা বলবেন-এর সাথে বলবেন না এই ধরণের কাজটি করবেন নাব্যক্তিগত বিষয় অফিসে টেনে আনবেন না
বাসায় ঝগড়া বা কথা কাটাকাটি হলে তার রেশ অফিসে টেনে আনবেন না। কাজের ফাঁকে পুনরায় ঝগড়া করতে লিপ্ত হবেন না। অফিসে এমন সম্পর্ক বজায় রাখুন যেন পরবর্তীতে কেউ কাউকে দোষারোপ করতে না পারেন খারাপ ব্যবহারের দায়ে। অফিসের কলিগের সাথেও আলোচনা করবেন না দাম্পত্য সমস্যা নিয়ে। এটি আপনাদের একই সাথে কাজ করার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে আর সংসারেও আনবে অশান্তি। ঘরের কথা ঘরে থাকাই ভালো।‘অফিসে একইসাথে থাকতে হবে সর্বদা’ এই মনোভাব দূর করুন
একই অফিসে কাজ করেন এই সুবাদে একসাথে থাকতে পারার ব্যাপারটা উপভোগ করুন কিন্তু সবসময় এক সাথে থাকতেই হবে এমন মনোভাব রাখবেন না। কিংবা একই সাথে থাকতে হবে এমন চাপ প্রয়োগ করবেন না পরস্পরকে। আলাদা ডিপার্টমেন্টে কাজ করলে দুপুরের খাবার একইসাথে খেতে হবে এমনটা করার চিন্তা বাদ দিন। দুজনের সময় মিললে একইসাথে বাসায় ফিরতে পারেন, কিন্তু তা না হলে একজনকে অপরের সমস্যা বুঝতে হবে।
Tidak ada komentar: দম্পতিরা একই অফিসে কাজ করলে মেনে চলুন ৪টি জরুরী নিয়ম
Posting Komentar