দিনাজপুর : দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের খিয়ারমামুদপুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ১ম শ্রেণীর এক শিশুকে লম্পট শিক্ষক শামীম হোসেন ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। পুলিশ ও গ্রামবাসী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
সরেজমিনে জানা গেলে, ওই শিশুটির বড় ভাই আঃ মান্নান জানান, তাঁর ছোট বোন প্রতিবেশী মমিনুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেনের (১৭) কাছে গিয়ে বিকেলে প্রাইভেট পড়তো। গত রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে প্রাইভেট পড়ার সময় বাড়িতে কেউ ছিলো না । সুযোগ বুঝে শামীম হোসেন শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শামীম হোসেন শিশুটিকে ভয় দেখায়। রাতে শিশুটি প্রসাব করতে গেলে যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করলে তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন।
শিশুটির পরিবার ও গ্রামবাসী শামীম হোসেনকে আটক করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই তাঁরা শিশুকে আশংকাজনক অবস্থায় বিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করায়। বিরামপুর হাসপাতালে আবাসকি ডা. মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীম হোসেন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে। শিশুটির যৌনাঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। আশংকাজনক হওয়ায় শিশুটিকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে লম্পট প্রাইভেট শিক্ষকশামীম হোসেন ও তাঁর বাবা মা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন। গ্রামবাসী জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মকসেদ আলীসহ একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি মোটাটাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। গ্রামবাসী শামীম হোসেন ও মকসেদ মেম্বারের বিচারের দাবীতে ফুঁসে উঠেছে। বিরামপুর থানার এএসআই আঃ হালিম ঘটনাস্থল পরির্দশন করলেও কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এবিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ রেজাউল ইসলাম জানান, তিনি কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলেই তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
Tidak ada komentar: ১ম শ্রেণীর শিশুকে ধর্ষণ করলো লম্পট শিক্ষক
Posting Komentar