প্রতিটি মানুষের জীবনের সবচেয়ে কঠিন একটি সময় হলো তার মধ্য বয়স। এই কঠিন সময়টি পার করাই সবার জন্য একটি পরীক্ষার মত। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সকে মধ্য বয়স হিসেবে ধরা যায়।
মধ্যে বয়সে শারীরিক ও মানসিক নানান রকমের পরিবর্তনের ফলে আত্মবিশ্বাস কমে যায় অনেকটাই। মধ্যে বয়সী নারীদের চাইতে এই সমস্যাটি পুরুষের মধ্যে বেশি থাকে। এই সময়ে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ এবং অন্যান্য মানসিক চাপের জন্য নিজের যৌন সক্ষমতা নিয়েও মনের মধ্যে দ্বিধা দন্দ্ব সৃষ্টি হয়। স্ত্রীও সন্তান পালনের দিকে মনোযোগ দেয়ার কারণে শারীরিক মিলনের ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখান না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে জীবনের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা চলে আসে। আর এই এক ঘেয়েমি দূর করতে পুরুষের মনে তখন বিভিন্ন ধরণের ফ্যান্টাসী কাজ করে। তাই এ বয়সে মিশ্র অনুভূতির কারণে বিভিন্ন ভুল কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা দেয় পুরুষদের মধ্যে। জেনে নিন মধ্য বয়সে নারী সঙ্গের ক্ষেত্রে মানসিক জটিলতার লক্ষণ গুলো।
মধ্যে বয়সে শারীরিক ও মানসিক নানান রকমের পরিবর্তনের ফলে আত্মবিশ্বাস কমে যায় অনেকটাই। মধ্যে বয়সী নারীদের চাইতে এই সমস্যাটি পুরুষের মধ্যে বেশি থাকে। এই সময়ে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ এবং অন্যান্য মানসিক চাপের জন্য নিজের যৌন সক্ষমতা নিয়েও মনের মধ্যে দ্বিধা দন্দ্ব সৃষ্টি হয়। স্ত্রীও সন্তান পালনের দিকে মনোযোগ দেয়ার কারণে শারীরিক মিলনের ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখান না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে জীবনের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা চলে আসে। আর এই এক ঘেয়েমি দূর করতে পুরুষের মনে তখন বিভিন্ন ধরণের ফ্যান্টাসী কাজ করে। তাই এ বয়সে মিশ্র অনুভূতির কারণে বিভিন্ন ভুল কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা দেয় পুরুষদের মধ্যে। জেনে নিন মধ্য বয়সে নারী সঙ্গের ক্ষেত্রে মানসিক জটিলতার লক্ষণ গুলো।
আত্মবিশ্বাসের অভাব
মধ্য বয়সে পুরুষদের মধ্যে সব বিষয়েই আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেয়। পেশা, অর্থ, সামাজিক মর্যাদা, পরিবার, স্ত্রী, যৌন ক্ষমতা সব কিছু নিয়েই দ্বিধা দন্দ্বে ভোগেন পুরুষরা মধ্য বয়সে। হঠাৎ করে চাকরী ছেড়ে দেয়ার মত ঘটনায় ঘটিয়ে ফেলেন। যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেও বিরক্তি বোধ করেন এবং এড়িয়ে যেতে চান। অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠান গুলোতেও যেতে অনীহা দেখা দেয় আত্মবিশ্বাসের অভাবে। তবে সবচাইতে বেশি অনীহা দেখা যায় পুরনো সম্পর্ক গুলো রক্ষা করার ক্ষেত্রে।
জীবন একঘেয়ে লাগে
মধ্যবয়সী পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটা দেখা যায় তা হলো জীবনটাকে একঘেয়ে লাগতে শুরু করা। এক যে মানুষটি কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে ভালোবাসতেন, সেই মানুষটিকেই কাজের প্রতি চরম অনিহা প্রকাশ করতে দেখা যায়। এ সময়ে সংসারের ছোট খাটো বিষয়েও খুবই বিরক্তি প্রকাশ করে পুরুষরা। বাজার করা, বিল দেয়া, স্ত্রীর সঙ্গ সবই বেশ বিরক্তিকর মনে হয় এই বয়সটাতে। গতানুগতিক রুটিন থেকে বের হয়ে নতুন কিছু করার আকাঙ্খা দেয়া দেয় এসময়ে।জীবন যাত্রায় পরিবর্তন
মধ্য বয়সে অনেক পুরুষের জীবন যাত্রাতেই চোখে পরার মতো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। হঠাৎ করেই ধূমপান বেড়ে যাওয়া কিংবা মদ খেয়ে বাড়ি ফেরার অভ্যাস বেড়ে যায় অনেকের। এছাড়াও ঘুম কম হওয়া, দেরী করে ঘুমানো, দেরী করে ঘুম থেকে ওঠা, মোবাইলে কথা বলা বেড়ে যাওয়া, লুকোচুরির অভ্যাস ইত্যাদি বেড়ে যেতে পারে। কেউ কেউ আবার হঠাৎ করেই আয়নার সামনে একটু বেশি সময় কাটান। কেউ কেউ বিপরীত লিঙ্গের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য রংচঙা পোশাক পরার শুরু করেন।পরকীয়া কিংবা পরনারী আসক্তি
মধ্য বয়সের সবচেয়ে বিপদজ্জনক ধাপ হলো এটা। নিজের সংসার জীবনে স্ত্রীর সঙ্গের অভাব কিংবা একঘেয়েমি দূর করার জন্য এ সময়ে অনেক পুরুষই পরনারীতে আসক্ত হয়ে পড়েন। আর এই আসক্তির ফলে নিজের চাইতে বয়সের অনেক ছোট মেয়েদের প্রেমে পড়েন তাঁরা। কম বয়স্ক মেয়েদেরকে উত্যক্ত করা, বিভিন্ন অশালীন আচরণ, অবৈধ যৌন সম্পর্কের মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করেন অনেকে এই বয়সে। কেউ কেউ আবার পরকীয়াতেও জড়িয়ে যান কিংবা বিয়ে করে ফেলেন বয়সে অনেক ছোট নারীকে!ফলে সংসারের অশান্তি ও অসম বয়সের পরকীয়ায় জীবন আরো দূর্বিসহ হয়ে ওঠে। শেষ মেষ অনেকে বিবাহ বিচ্ছেদের মত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
Tidak ada komentar: মধ্য বয়সী পুরুষ যে ৫টি মানসিক জটিলতার সম্মুখীন হয়ে থাকেন!
Posting Komentar