যাঁদের চোখের সমস্যা রয়েছে চশমা তাঁদের নিত্যসঙ্গী। পরতে বাধ্য থাকলেও চশমা অনেকেই পছন্দ করেন না। তাই চশমার বদলে কনট্যাক্ট লেন্সের ব্যবহার দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নাকের ডগায় ভারীর চশমার পরিবর্তে কনট্যাক্ট লেন্স পরা স্বস্তিদায়ক তো বটেই এটা চোখের জন্যেও ভালো।
শুধু প্রয়োজনে নয় কনট্যাক্ট লেন্স এখন ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে। চোখের মণির রং বদলে ফেলে নিজেকে নতুন 'লুক' দিতে অনেকেই রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করে থাকেন। রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স প্রধানত দু ধরনের হয়। যাঁদের চোখের মণির রং হালকা তাঁরা এনহ্যান্সড কনট্যাক্ট লেন্সের মাধ্যমে চোখের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারেন। আর দ্বিতীয় ধরনের কনট্যাক্ট লেন্সকে বলা হয় ওপেক কনট্যাক্ট লেন্স। ওপেক কনট্যাক্ট লেন্স চোখের মণিকে ঢেকে ফেলে পুরোপুরি। ফলে লেন্সের রংই হয়ে ওঠে চোখের রং। যাঁরা নিজেকে নতুন নতুন রূপে দেখতে পছন্দ করেন তাঁরা বেছে নিতে পারেন ওপেক লেন্স। অনেকেরই এই ধারণা রয়েছে যে, যাঁদের চোখে সমস্যা আছে তাঁরা রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু সত্যি কথা হলো যাঁদের চোখে পাওয়ার আছে তাঁরাও রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন অনায়াসে।
শুধু প্রয়োজনে নয় কনট্যাক্ট লেন্স এখন ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে। চোখের মণির রং বদলে ফেলে নিজেকে নতুন 'লুক' দিতে অনেকেই রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করে থাকেন। রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স প্রধানত দু ধরনের হয়। যাঁদের চোখের মণির রং হালকা তাঁরা এনহ্যান্সড কনট্যাক্ট লেন্সের মাধ্যমে চোখের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারেন। আর দ্বিতীয় ধরনের কনট্যাক্ট লেন্সকে বলা হয় ওপেক কনট্যাক্ট লেন্স। ওপেক কনট্যাক্ট লেন্স চোখের মণিকে ঢেকে ফেলে পুরোপুরি। ফলে লেন্সের রংই হয়ে ওঠে চোখের রং। যাঁরা নিজেকে নতুন নতুন রূপে দেখতে পছন্দ করেন তাঁরা বেছে নিতে পারেন ওপেক লেন্স। অনেকেরই এই ধারণা রয়েছে যে, যাঁদের চোখে সমস্যা আছে তাঁরা রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু সত্যি কথা হলো যাঁদের চোখে পাওয়ার আছে তাঁরাও রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন অনায়াসে।
প্রথম দিকে কনট্যাক্ট লেন্স তৈরি করা হতো কাচ দিয়ে। কিন্তু কাচের তৈরি লেন্স পরে বেশি আরাম তো পাওয়া যেতই না বরং বেশিক্ষণ পরে থাকলে শুরু হয়ে যেত অস্বস্তি। এ কারণেই হার্ড লেন্সের পরিবর্তে সফট লেন্স তৈরি শুরু হয় এবং এটাই বেশি জনপ্রিয়তা পায়। সফট লেন্স তৈরি হয় পলিমার দিয়ে। এই লেন্সের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে এটা অক্সিজেন পারমিয়াবিলিটি। পলিমার দিয়ে তৈরি সফট লেন্সের ভেতর দিয়ে খুব সহজেই চোখে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে। ঠিক চশমার মতোই কনট্যাক্ট লেন্সেও পাওয়ার যোগ করা যায়। প্লাস এবং মাইনাস তো বটেই, যাঁদের সিলিন্ডিক্যাল পাওয়ার, তাঁদের জন্যেও বিশেষ ভাবে তৈরি কনট্যাক্ট লেন্স পাওয়া যায়। তবে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করারও আছে বিশেষ কিছু নিয়মকানুন। এ ব্যাপারে রইল কিছু পরামর্শ -
ব্যবহার পদ্ধতি :
- কনট্যাক্ট লেন্স পরার এবং খুলে ফেলার আগে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন। তবে হাত ধোয়ার সময় ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ অথবা সুগন্ধীযুক্ত সাবান না ব্যবহার করাই ভালো। সংক্রমণ এড়ানোর জন্য হাত পরিষ্কার কাপড়ে মুছে নিন।
- লেন্স পরার সময় হাতের তর্জনী ব্যবহার করুন। এতে কনট্যাক্ট লেন্স ঠিকভাবে পরতে সুবিধা হয়। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে লেন্স উলটো করে পরে না ফেলেন। লেন্স পরার পর ১৫-২০ সেকেন্ড একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুন। তারপর নিচের দিকে তাকিয়ে চোখ ২-৩ সেকেন্ডের জন্য বন্ধ করুন। এরপর চোখ খুলে যদি দেখেন লেন্সটা মণির উপর থেকে সরে গেছে তাহলে তর্জনীর সাহায্যে সাবধানে লেন্সটাকে জায়গামতো নিয়ে আসুন। দুচোখে একই পদ্ধতিতে লেন্স পরুন।
- লেন্স চোখে পরার পর কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ জ্বালা করতে পারে বা অস্বস্তি হতে পারে। কিন্তু এটা যদি ১-২ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে তাহলে বুঝবেন লেন্সে কোনো সমস্যা হয়েছে।
- চোখ থেকে লেন্স বের করার আনার সময় চোখ যদি বেশি শুকনো মনে হয় তাহলে দুএক ফোঁটা সলিউশন চোখে ঢেলে নিলে কাজটা সহজ হবে।
- চোখ থেকে লেন্স বের করার সাথে সাথে সলিউশনে ডুবিয়ে রাখুন।
- কনট্যাক্ট লেন্সের কেস অনুযায়ী লেন্স ঠিকঠাক জায়গামতো রাখুন।
- যাঁরা রঙিন কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তাঁরা লেন্স পরার আগে খেয়াল করবেন লেন্সের গাঢ় রঙের ভাবটা যেন উপর দিকে থাকে।
কনট্যাক্ট লেন্সের যত্ন :
- কনট্যাক্ট লেন্স সব সময় আয়নার সামনে পরবেন এবং খুলবেন।
- লেন্স পরা এবং খোলার আগে হাত মাইল্ড সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
- লেন্স পরার সময় প্রথমে বাঁ চোখে এবং পরে ডান চোখে লেন্স পরুন।
- প্রত্যেকবার লেন্স খোলার সময় লেন্স কেয়ার সলিউশন দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। প্রতিদিন লেন্স কেসের সলিউশন বদলে দিন। এছাড়াও ডাক্তারের সকল পরামর্শ মেনে চলুন।
- লেন্স পরার পর হেয়ার স্প্রে করবেন না। চোখের যাবতীয় মেকআপ লেন্স পরার আগেই করুন। আগে লেন্স খুলে তারপর মেকআপ তুলুন।
- ডিসপোজেবল লেন্স ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে, সেই মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ মেনে চলুন। সলিউশন কেনার সময়েও মেয়াদ খেয়াল করুন।
- ৩-৪ মাস পর পর লেন্সের কেস বদলান। প্রতি ৬ মাসে একবার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
- লেন্স কেয়ার সলিউশনের মুখ যাতে কোনো কিছুতে না ঠেকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এমনকি নিজের আঙুলও বোতলের মুখে লাগাবেন না।
- সলিউশন ছাড়া অন্য কোনো আই ড্রপ, ওষুধ বা পানি দিয়ে লেন্স পরিষ্কার করবেন না।
- ধুলো বা ধোঁয়া আছে এমন পরিবেশে কনট্যাক্ট লেন্স পরবেন না।
ব্যবহারের সুবিধা :
- কনট্যাক্ট লেন্স চোখের উপর সরাসরি পরা হয় বলে চশমার মতো চোখ এবং কাচের মধ্যে কোনো দূরত্ব থাকে না। ফলে অস্বস্তিও হয় না। চোখের সাথে আটকে থাকে বলে কনট্যাক্ট লেন্স দিয়ে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে সবকিছু দেখা যায়।
- চশমার দুপাশে কাচ থাকে না বলে সাইড ভিশন প্রভাবিত হয়, লেন্সের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটা নেই। বিশেষ করে যাঁরা সাঁতার কাটেন বা অন্যান্য খেলাধুলা করেন তাঁদের জন্য সাইড ভিশন ঠিক রাখা খুবই জরুরি।
- চশমার মতো মুখ, নাক বা কানের ত্বকের ওপর কোনো চাপ ফেলে না কনট্যাক্ট লেন্স।
- এসির ভেতর থেকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বের হবার পর চশমার কাচের মতো লেন্স কখনোই ঝাপসা হয় না।
- খুব গরম বা বৃষ্টিতে কনট্যাক্ট লেন্স নিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়তে হয় না। বিশেষ করে বারবার মোছার কোনো ঝামেলাই নেই!
Tidak ada komentar: ব্যবহার যখন কনট্যাক্ট লেন্সের
Posting Komentar