যে কোনো কাজের সাফল্যের জন্য শারীরিক সামর্থ্য ও স্বাস্থ্যের মতো মানসিক দৃঢ়তাও জরুরি। মানসিক দৃঢ়তা থাকলে অনেক কঠিন বিষয়ও সহজে জয় করা সম্ভব। কেউ কেউ বলেন, মনে থাকলে জোর, সব কিছু তোর। গবেষকরাও এক কথার সত্যতা স্বীকার করেছেন
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক মানসিক ভাবে কোন কোন ক্ষেত্র দৃঢ় থকলে সফলতা ধরা দেবে আপনার হাতে।
১) অযথা দুঃখবোধে সময় নষ্ট করবেন না
মানসিকভাবে দৃঢ়চেতা মানুষরা কখনো তাদের কাজের পরিবেশ বা অবাসন নিয়ে হা-হুতাস করেন না। তারা তাদের কাজ ও কাজের সাফল্য নিয়ে বেশি ভাবিত হয়ে থাকেন। আবাসন বা কাজের পরিবেশকে নিজেদের লব্ধ শিক্ষানুযায়ী নিজের অনুকুলে নিয়ে আসেন তারা।
২) অধ্স্তন মনোভাব ত্যাগ করুন
যেহেতু মানসিক দৃঢ়চেতা মানুষ তাদের কাজ ও আবেগকে গুলিয়ে ফেলেন না, সেহেতু অন্যের সৃষ্ট হীনমন্যতার পরিস্থিতি তাদের ঘায়েল করতে পারে না। তারা জানেন, তাদের শক্তি যে কোন পরিস্থিতি ম্যানেজ করার সামর্থ্যের মধ্যে, তাই কখনোই তারা অধস্তন মনোভাবে আক্রান্ত হন না।
৩) চ্যালেঞ্জ নিতে বিব্রতবোধ করবেন না
মানসিক দৃঢ়তার অধিকারীরা পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেন বলে চ্যালেঞ্জ নিতে দো-টানায় ভোগেন না । তাদের একমাত্র ভয় হলো নিজেকে প্রকাশ না করতে পারার ভয় । তাই অনিশ্চয়তা বা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে তারা ভীত না হয়ে অধিকন্তু উদ্যমী হয়ে উঠেন।
৪) নিয়ন্ত্রণ বিহীন ব্যাপারে অযথা ইনার্জি ক্ষয় করবেন না
যে সব বিষয় নিয়ন্ত্রণের আওতায় নেই তা নিয়ে অযথা ইনার্জি ক্ষয় করেন না দৃঢ় মানসিকতার লোকজন । তারা তাদের বর্তমান কাজ সেবার মনোভাব নিয়ে সম্পদানে ব্যস্ত থাকেন বেশি। দেশের খারাপ ট্রাফিক ব্যবস্থা বা চুরি-চামারী বা অন্যের সমালেচনায় সময় ব্যয় করা তাদের ধাতে নেই ।
৫) পরচর্চা ত্যাগ করুন
অন্যের মনে আঘাত লাগতে পারে বা নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে এমন কোন কাজ বা কথা দৃঢ় মানসিকতার অধিকারীরা করেন বা বলেন না। অন্যের প্রশংসা করার মাধ্যমে আনন্দদানে তারা বেশি মনোযোগী হয়ে থাকেন।এতে কাজ উদ্ধারও সহজ হয়ে যায়।
৬) ঝুঁকি নিতে বিবেচনার পরিচয় দেন
অববেচনাপ্রসূত ঝুঁকি নেওয়াটা দৃঢ় মানসিকতার লোকজনের মধ্যে থাকে না। আগে-পিচে সাত-পাঁচ ভেবে তারা ঝুঁকি নিয়ে থাকেন।
৭) অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগান
অতীত ব্যর্থতা নিয়ে পড়ে না থাকলেও শক্ত-সামর্থ্য মনের অধিকারীরা অতীত সাফল্য বা অভিজ্ঞতা থেকে বর্তমান কাজের প্রেষণা নিতে ভুলে যান না।
৮) অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নিন
বারবার ভুল করে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দূর্বল মনের মানুষেরা । কিন্তু মানসিকতায় দৃঢ় ব্যক্তিরা দ্বায়-দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার কারণে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। এতে পরেরবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হয় না।
৯) পরশ্রীকাতরতা ত্যাগ করুন
অন্যের সাফল্যে দৃঢ়চেতা মানুষদের মনোবল আরো চাঙ্গা হয়ে উঠে। তারা কখনোই অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হোন না।
১০) ব্যর্থতা মনে রাখতে নেই
ব্যর্থতা আকড়ে না ধরে ভবিষ্যত ব্যর্থতা পরিহারের ব্যাপারে মনোযোগী হোন । কাজ করতে গেলে ব্যর্থতা থাকেই, কিন্তু মানসিকতায় দৃঢ় ব্যক্তিরা তা নিয়ে পড়ে থাকেন না।
১১) একাকিত্বকে উপভোগ করুন
দৃঢ় মনোবলের মানুষের কাছে একাকিত্ব সম্পদের মতো, নিজের একা সময়টাকে তারা উৎযাপনে ব্যয় করতে প্রয়াসী হয়ে থাকেন । অন্তত ফ্রি সময়টাতে তারা ছোট-খাটো ভুলগুলো খুজে বের করেন নাহয় ভবিষ্যত কাজের পরিকল্পনা আকেঁন ।
১২) সুচিন্তায় পৃথিবীকে সাজান
কোন কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা ছাড়া কেউ অলৌকিকভাবে শুন্য থেকে কিছু পেতে পারে না । তাই মাগনা লাভের আশা ত্যাগ করে নিজেকে প্রস্তুত করুন, পরিকল্পনা একেঁ কাজে নামুন, পৃথিবী আপনাকে শুন্য হাতে ফেরাবে না।
১৩) রেজাল্টের ব্যাপারে ধৈয্যহারা হবেন না
কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে রেজাল্টের আশায় হা করে বসে থাকবেন না। মনে রাখবেন, দৃঢ়চেতা মানুষেরা ভালো রেজাল্ট দেরিতে আসায় বিশ্বাসী হয়ে থাকেন।
Tidak ada komentar: ‘থাকলে মনের জোর, সব কিছু তোর’
Posting Komentar