হয়তো দুপুর কিংবা রাতের খাবারটা আজ রেস্তোরাঁতেই সারতে হবে আপনার। আর তাই পছন্দসই কোনো একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকে কোনো একটা খাবারের অর্ডার দিয়ে প্রথমেই আপনি লেগে গেলেন হাত পরিষ্কার করতে। একইভাবে রেস্তোরাঁর কলের পাশে রাখা সাবানটির সাথে আপনার পুনরায় দেখা হলো খাবার পরেও।কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোজো ইন্ডাস্ট্রিজ নামের হাত পরিষ্কারক তরল প্রস্তুতকারক একটি প্রতিষ্ঠান ও খ্যাতনামা অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যে তথ্য আবিষ্কার করেছেন তাতে করে জেনে বুঝে ভবিষ্যতে এমনটা আর করা উচিত হবে কি না তা ভাববার বিষয়।
ঢালাওভাবে সব রেস্তোরাঁকে দায়ী না করলেও অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বা শৌচাগারে সাধারণ মানুষের ব্যবহার করা এসব সাবানে যে টয়লেটের পানির চাইতেই বেশি জীবাণু থাকতে পারে সেকথা বেশ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন এই গবেষকরা।
তাদের দাবি, এ ধরনের বহু মানুষের ব্যবহার করা সাবানে হাতের জীবাণু দূর তো হয়ই না, বরং উল্টো হাত ধোওয়ার পর হাতে জীবাণুর উপস্থিতি আরও বেড়ে যায়। এমনকি এ ধরনের সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার আগে ও পরে হাতে উপস্থিত গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ শতকরা ২৫ ভাগ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষকরা।
আলোচিত এই গবেষণার জন্য গোজো ইন্ডাস্ট্রিজের স্বেচ্ছাসেবক ও গবেষকরা আমেরিকার পাঁচটি শহর আটলান্টা, ডালাস, বোস্টন, লস অ্যাঞ্জেলস ও কলম্বাস, ওহিও’র পাবলিক রেস্টরুম থেকে ৫০০’র মতো সাবানের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো অনুজীব গবেষকদের কাছে হস্তান্তর করেন। আর সাবানের নমুনাগুলো দীর্ঘ সময় নিয়ে বিশ্লেষণের পরই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য।
এ প্রসঙ্গে আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের মাইক্রোবায়োলজির প্রফেসর চার্লস পি গারবা বলেন, ‘যে সাবানগুলো আমরা পরীক্ষা করেছি তার কোনো কোনোটিতে সত্যিকার অর্থেই আমরা এতবেশি জীবানুর উপস্থিতি দেখেছি যে এর চেয়ে টয়লেট ফ্লাশ করার পরের পানিতেও কম জীবাণু থাকে।’
এদিকে এই গবেষণার পর থেকে মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করতে এবং বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, পাবলিক রেস্টরুম ও প্রতিষ্ঠানে গণসাবান ব্যবহারের পরিবর্তে অনেকের হাত লাগে না এমন সাবানের ডিসপেন্সারের ব্যবহার বাড়াতে প্রচারণা চালাচ্ছে গোজো ইন্ডাস্ট্রিজ।
Tidak ada komentar: গনসাবান দিয়ে হাত ধোয়া থেকে সাবধান!
Posting Komentar