কথা কাটাকাটি, মনোমালিন্য, ঝগড়াঝাঁটি সব সম্পর্কেই থাকে। অনেকেই আছেন যারা সম্পর্কের এই ধরনের টানাপোড়নের সাথে সমঝোতা করে নেন। আবার অনেকে সম্পর্ক শেষ করে দেয়ারও চিন্তা ভাবনা শুরু করেন। কিন্তু সম্পর্কচ্ছেদই কি সব সমস্যার সমাধান? অন্য কোন উপায় কিংবা আপনাদের কোন ধরনের সহযোগিতা কি পারে না সম্পর্কেই সেই মধুমাখা সময় ফিরিয়ে আনতে? আপনারা কি কখনো সেভাবে চেষ্টা করে দেখেছন? দুপক্ষের একটু সমঝোতা, একটু ভালবাসা, পরস্পরের ভালোলাগার খেয়াল রাখা আপনার সম্পর্কের টানাপোড়নই দূর করে না। এর পাশাপাশি আপনার সম্পর্ককে আরও মধুর করে তোলে। দেখে নিন সম্পর্কের দুরহ সময়ে কোন কোন কাজ গুলো আপনার সম্পর্কে টানাপোড়ন দূর করতে পারে।
সমস্যা খুঁজে বের করুন ও বোঝার চেষ্টা করুন
সবার প্রথমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে আপনাদের মধ্যে কেন দূরত্বের সৃষ্টি হচ্ছে। জানতে হবে আপনাদের সম্পর্কের মধুরতায় বাধা হয়ে আছে কোন ব্যাপারটি। বুঝতে হবে সেই কারণটিকে। যখন আপনি কারণটি জানতে পারবেন এবং সেটি বুঝতেও পারবেন তখন আপনার পক্ষে অনেক সহজ হবে সমস্যাটি নিয়ে সঙ্গীর সাথে কথা বলে সমাধান করার ক্ষেত্রে। সুতরাং প্রথমে দেখুন, খুঁজুন, বুঝে নিন , শুনুন ও পরে সমধানের পথ খুঁজুন।
অনেক ক্ষেত্রেই সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যায় তা নিয়ে খোলাখুলি কথা না বললে। দেখা যায় দুজনেই সমস্যাটি জানেন কিন্তু কথা বলে ঠিক করে নিতে এগুচ্ছেন না কেউই। এতে করেই দুজনের মধ্যে দূরত্ব আরও বেরে যায়। যখনই সমস্যাটি ধরতে পারবেন সব থেকে ভালো হচ্ছে সঙ্গীর সাথে সেটি সময় পেলেই আলোচনা করে নেয়া। এতে করে সম্পর্কে স্বচ্ছতা আসে। একজন আরেকজনকে বোঝার ক্ষমতা বাড়ে।
ক্ষমা করার মনোভাব রাখুন
কথা কাটাকাটি, মনোমালিন্য, ঝগড়াঝাঁটির সময় অনেক নেতিবাচক কথা বলা হয় দু পক্ষ থেকেই। কিন্তু এই নিয়ে ধরে বসে থাকলে সম্পর্কের দূরত্ব বাড়তে থাকে। মনে রাখতে হবে রাগের মাথায় কিংবা মানসিক চাপের মুখে মানুষ নানা কথাই বলতে পারেন। কিন্তু তারা নিজেরাই পরে বুঝতে পারেন কথাগুলো ভুল ছিল। তাই কথা নিয়ে বসে থাকবেন না। ক্ষমা করে দেয়ার মনোভাব রাখুন। সে আপনার সঙ্গী। ভালো মন্দ মিলিয়েই সে আপনার সাথে ছিলেন এবং থাকবেন। কোন কথায় দুঃখ পেলে তাকে ক্ষমা করে দিন। দুপক্ষের ক্ষমাসুলভ আচরন ও দৃষ্টিভঙ্গি আপনাদের সম্পর্কের টানাপোড়ন অনায়েসেই দূর করতে পারবে।
বিজ্ঞদের পরামর্শ নিন
যদি আপনি উপরের সব কাজই করে থাকেন কিন্তু এরপরও সম্পর্কে নতুন কোন আকর্ষণ খুঁজে না পান তাহলে বুঝতে হবে আপনি যতটুকু ভাবছেন আপনাদের সম্পর্কের টানাপোড়ন এর থেকেও অনেক বেশি। তখন আপনি পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন বিজ্ঞদের থেকে। আপনি ম্যারেজ কাউন্সেলরের সাথে পরামর্শ করতে পারেন, বিশস্ত ও বিজ্ঞ পারিবারিক কার সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করে দেখতে পারেন। আপনাকে পরামর্শ গ্রহন করতে বলার মানে এই নয় যে তারা যা বলবেন তাই আপনাকে মেনে নিতে হবে। পরামর্শ গ্রহন করুন, নিজের বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে বিশ্লেষণ করুন তারপরে কোন সিদ্ধান্তে আসুন। আর যদি এর কোনটাই না হয় তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আসলেই আপনি এই সম্পর্কে থাকতে চাচ্ছেন কিনা। যদি কিছুই না হয় তবে এই সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলাই ভালো। কারন টানাপোড়নে দু পক্ষেরই কষ্টটা একটু বেশিই হয়।
মিষ্টি একটি চিঠি লিখুন
কথায় কথা বাড়ে। অনেক সময় সমঝোতার মনোভাব নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেও সেটা ঝগ্রায় গড়ায়। লিখে ফেলতে পারেন মিষ্টি একটি প্রেমপত্র। নিজের সব অনুভূতিগুলোকে গুছিয়ে লিখে ফেলুন একটি চিরকুটে। এরপর প্রিয়জনকে সেটা পড়তে দিন। প্রেমপত্র দেবার মাধ্যমেই তার রাগ অনেকটা কমিয়ে আনতে পারবেন। আর এটি পড়ার পরে তো আপনাদের মাঝে কোনও রকমের ভুল বোঝাবুঝি থাকবার কথাই নয়!
Tidak ada komentar: সম্পর্কের টানাপোড়েন ঠিক করতে অত্যন্ত জরুরী যে ৫টি কাজ
Posting Komentar