একটা কথা প্রচলিত আছে যে ''সকাল বেলার পাখি খাদ্যের সন্ধান পায় বেশি"। আবার মা খালারা তো প্রায়ই বলেন ভোরবেলা উঠে পড়াশুনা শুরু করার কথা তাইনা? কিন্তু ঘুম ভাঙলেই শরীর ম্যাজম্যাজ করে আলসেমিতে পেয়ে বসে।অনেকে হয়তো বিছানায় শুয়েই কাটিয়ে দেন ঘুম ভাঙার পরের অনেকটা সময়। সেই একঘেয়েমিকে টাটা বাই বাই করে আপনাকে ফ্রেশ একটা সকাল উপহার দেয়ার জন্যই এই ছোট্ট আয়োজন।
ঝট করে বিছানা ছাড়ুন :
ঘুম ভাঙার পর বিছানায় একটু বাড়তি গড়াগড়ি করতে অনেকেরই ভালো লাগে। তবে এটা কিন্তু একটা সতেজ সকালে ডেকে আনে অহেতুক আলসেমি। উঠছি উঠছি ভেবে শুয়ে থাকবেন না। তাহলে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা হবে না, অজথাই তাড়াহুড়ো লেগে যাবে। ঘুম ভাঙার সাথেই বিছানাকে দিয়ে দিন বিদায়।
নিয়ে নিন গভীর একটি শ্বাসঃ
ভোরের বাতাসে গভীর একটি শ্বাস আপনার দিনটাকেই চনমনে করে দিতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছেনা? জানালা খুলে দুহাত প্রসারিত করে গভীর শ্বাস নিয়েই দেখুন না। ফুসফুসে তাজা বাতাস আপনার মাঝে ভরে দেবে একরাশ সতেজতা।
খালি পেটেই এক গ্লাস পানি :
দাঁত ব্রাশ করে মুখ ধুয়ে আসার পর খালি পেটেই পান করুন এক গ্লাস পানি। পানি যেমন বিপাক ক্রিয়াকে নতুন উদ্যমে চালু করবে, ঠিক তেমনি আপনার শরীরকে করে তুলবে পুরোপুরি সজাগ।
প্রাতঃভ্রমন ও শরীর চর্চাঃ
সকালের খোলা হাওয়ার হাঁটতে বেরিয়ে পড়তে পারেন। বাইরে যেতে না পারলে ছাদেই না হয় সেরে নিন।প্রাতঃভ্রমনটা। তাও যদি সম্ভব না হয় ঘরের ভেতর কিংবা বারান্দায় করে ফেলতে পারেন কয়েকটি ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ।
ঝেটিয়ে বিদায় করুন নেতিবাচক চিন্তাঃ
সকালে উঠেই যদি ভাবতে বসেন সেই বোরিং ক্লাস,বিরক্তিকর বস কিংবা সহকর্মীটির কথা, তাহলে কি আর চটপট তৈরি হয়ে ক্লাস বা অফিসে যেতে ইচ্ছে করবে বলুন? বরং দিনের শুরুতেই ভেবে নিন অফিসের কোন কাজটি ঠিকমত শেষ করে প্রশংসা পেতে পারেন অথবা ক্লাসের ফাঁকে বন্ধুদের সাথে খুনসুটির কথা। সামনে কত সুন্দর অপেক্ষা করছে সেসবই ভাবুন শুধু।
প্রতিদিন সকালেই নয় চা/ কফিঃ
গবেষনায় পাওয়া গেছে প্রতিদিন চা কিংবা কফি পান করার ফলে এর ক্যাফেইন আমাদের মাঝে এক ধরনের একঘেয়েমির সৃষ্টি করে। যার ফলে এর কার্যকারিতাও ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে।
তাই প্রতিদিন সকালেই চা/কফি পান না করে তখনই পান করুন যখন বেশি ক্লান্ত লাগছে বা যখন অনেক কাজ বা পড়াশুনার চাপ বেশি। তবে খালি পেটে অবশ্যই নয়। সকালে বরং একটি ফল খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর।
নতুন কিছু করাঃ
সকালে উঠে নতুন কিছু করতে পারেন। যেমন শখের কোন কাজ বা মা/স্ত্রীকে নাশতায় সাহায্য করা। এক কাপ গরম কফির পেয়ালাই না হয় তুলে দিন প্রি জনের হাতে। হাল্কা ধাঁচের গান শুনতে পারেন। আর কিছু না হোক প্রিয় মানুষদের বলতে পারেন সুপ্রভাত।
ধন্যবাদ দিন বিধাতাকেঃ
আজকের সুন্দর সকালটি দেখার সৌভাগ্য আপনার নাও হতে পারতো। আর সেইজন্য বিধাতাকে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না। সকাল বেলার প্রার্থনা করা কিংবা ফজরের নামাজ আদায় করাটাও চমৎকার একটি উপায় কৃতজ্ঞতা জানাবার। নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী সেরে নিন প্রার্থনা।
টিপসগুলো মেনে চলেই দেখুন না একঘেয়ে সকালটা সুন্দর হয়ে ওঠে কিনা!
Tidak ada komentar: একটি সুন্দর, সতেজ সকাল শুরুর ৮টি কৌশল
Posting Komentar