Sabtu, 30 November 2013

ভয়াল অসুখ স্তন ক্যান্সার

Sexy Hot Photos: ভয়াল অসুখ স্তন ক্যান্সার .

ক্যানসার- একটি দূরারোগ্য ব্যাধি হিসেবেই পরিচিত। দুঃখের হলেও সত্যি যে, ক্যানসার রোগীর হার ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষত ব্রেস্ট ক্যানসার বা স্তন ক্যানসারের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু একটু আগাম সচেতনতা আর সময়মতো চিকিত্‍সা করাতে পারলে স্তন ক্যানসারকে প্রতিহত করা সম্ভব। তাই নিজের শরীর এবং এই বিশেষ অঙ্গটির যত্ন নিতে শুরু করা উচিত আগে থেকেই। 

কেন হয় :

স্তন ক্যানসার আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা। প্রায় ৬০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে তাঁদের জীবনযাপনের ধরনকে এই রোগের জন্য দায়ী ভাবা হচ্ছে। এছাড়াও মেয়েদের ৩০ বছরের পরে বিয়ে হওয়া, স্বেচ্ছায় মা না হওয়া, মা হলেও সন্তানকে স্তন্যদান না করা ইত্যাদি কারণও দায়ী মনে করা হয়। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন অত্যধিক ধূমপান করা, অ্যালকোহল গ্রহণ করা, ফাস্টফুড খেয়ে বেঁচে থাকা, এমনকি বসে বসে কাজ করাও কিন্তু স্তন ক্যানসারের জন্য সমানভাবে দায়ী।
স্তন ক্যানসারের ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে বংশগত কারণ দায়ী। মা-নানী-দাদীর যদি স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকে তাহলে পরিবারের পরের প্রজন্মের মধ্যে এটি সঞ্চারিত হবার সম্ভাবনা থাকে। আরও ৩০ শতাংশের ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসারে কারণ এখনো অজানা। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে আজকাল জীবনযাত্রার কারণ এই বয়সসীমা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। এখন ১৫ থেকে ৪০ বছরের কম বয়সী নারীরাও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

লক্ষণ :

*স্তনের আকার পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
*স্তনের চামড়া বা নিপল কুঁচকে যাওয়া।
*নিপল থেকে কষ, পুঁজ বা রক্তক্ষরণ।
*স্তনে গোটা বা চাকা অনুভব করা। এতে ব্যথা হতে পারে আবার নাও হতে পারে।
*চাকা বা গোটা বগলে বা স্তনের পাশেও দেখা দিতে পারে।

চিকিত্‍সা :

কোনো কারণে আমাদের শরীরের কোনো কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি না হয়, তাহলে তা অসমভাবে বাড়তে থাকে। এর থেকে অসংখ্য কোষা উত্‍পন্ন হয়ে তৈরি হয় টিউমার। টিউমার দু ধরনের হয়। একটি বিনাইন, যা ছড়িয়ে পড়ে না, একই জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে। অন্যটি ম্যালিগন্যান্ট, যা ক্যানসারের কোষ। ক্যানসারাস কোষগুলি দ্রুত বিভাজিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই দু ধরনের টিউমারই স্তনে হতে পারে।
স্তন ক্যানসার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। ক্যানসার যদি প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে অপারেশনের পরে কোমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি বা হরমোনাল থেরাপি করা হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে প্রথমে কেমোথেরাপি দেয়া হয়, পরে অপারেশন করা হয়। চতুর্থ পর্যায়ে অপারেশনের কোনো সুযোগ থাকে না। এক্ষেত্রে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দিয়ে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়।
অনেকেরই মনে এ প্রশ্ন জাগতে পারে যে, স্তন অপারেশনের পর আবার স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব কি না? অবশ্যই সম্ভব! আর স্বাভাবিক পাঁচজন নারীর মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন তো বটেই, বছর দুয়েক পর মা-ও হতে পারবেন।

মানসিক জোর :

স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রটি হলো আপনার মনের জোর। স্তন ক্যানসারকে মোকাবিলা করতে শারীরিক শক্তির চেয়ে বেশি প্রয়োজন মনের জোরের। কারণ এটি অভাব হলে কোনোভাবেই ক্যানসারকে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে কাউন্সিলিং করুন। করতে পারেন যোগাসন। এটা আপনার মনকে শান্ত করতে সাহায্য করবে। আশেপাশে প্রিয়জনের উপস্থিতি আপনাকে দেবে সাহস ও লড়াই করার প্রেরণা।

খাবারদাবার :

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হলো ক্যানসার প্রতিরোধের একটি অনন্য উপায়। স্তনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। ব্রকোলি, ফুলকপি, চাইনিজ ক্যাবেজ ইত্যাদি স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। আমিষসমৃদ্ধ খাবার পেশি দৃঢ় করতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান কোলাজেনও আমিষে থাকে। আঁশসমৃদ্ধ খাবার শরীরের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে আনে। প্রতিদিন অন্তত তিন ধরনের ফল খান। কারণ ফলে থাকা ফাইটোক্যামিকালস ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে কম ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার খান। চর্বিজাতীয় ও মসলাদার খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

যাঁরা স্তন ক্যানসারে ভুগছেন তাঁদের জন্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার, কমলালেবু, মালটা, আঙুর, ভিটামিন সি যুক্ত ফল, পাকা আম, হলুদ, রসুন ইত্যাদি খুবই উপকারী। রঙিন সবজি যেমন কুমড়া, গাজর, বরবটি, শিম, লাউ খাবেন। কমলা এবং হলুদ রঙের খাবারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সুডৌল, সুন্দর স্তন গঠন করতে সহায়ক।

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা। নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ, শরীরচর্চা সব ধরনের ক্যানসার থেকে আপনাকে রাখবে দূরে।

Related Posts: ভয়াল অসুখ স্তন ক্যান্সার

Tidak ada komentar: ভয়াল অসুখ স্তন ক্যান্সার

Popular Posts
Blog Archive