সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সম্পর্কের প্রতারণার হার। প্রযুক্তির আশীর্বাদের অপব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। এখন হাতে হাতেই স্মার্ট ফোন আর ল্যাপটপের ছড়াছড়ি। সেই সঙ্গে বাড়ছে সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটের ব্যবহার। ফলে যে কারো সাথেই যোগাযোগ করা অনেক সহজ হয়ে গেছে এবং প্রতারণার হারও বেড়ে গেছে। এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ব্যক্তিগত তদন্তকারী দ্বারা পরিচালিত ‘মাই চিটিং’ নামের একটি নতুন জাতীয় প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানটি মানুষকে তাদের সঙ্গী প্রতারণা করছে কিনা সেটা খুঁজে বের করতে সহায়তা করে।
মাই চিটিং এর মতে প্রযুক্তি এখন মানুষের নিয়মিত জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে। ফলে মানুষের নিজেদের মধ্যে ভাব আদান প্রদান বেড়ে গেছে এবং প্রতারণাও বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে-
প্রযুক্তির ব্যবহারে যেমন লাভ হতে পারে, ঠিক তেমনি ক্ষতিও হতে পারে। মুঠোফোনেই পরিচিত মানুষের সাথে ভিডিও চ্যাট কিংবা ক্ষুদে বার্তা আদান প্রদানের মাধ্যমে সহজেই মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। তাই যে কেউ যে কোনো সময়ে সঙ্গীর পাশে বসেই প্রতারণা করতে পারে। ফলে সহজে ধরাও পড়ে না এ ধরণের অপরাধ। ফেসবুকের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েও প্রতারণা করা যায়।
প্রযুক্তির মাধ্যমে যেসব সম্পর্ক হচ্ছে ইদানিং তার বেশিরভাগই শুধুই প্রতারণা। নিজের সামাজিক ও পারিবারিক তথ্য গোপন করে অনেকেই নিষিদ্ধ এসব সম্পর্ক নিয়ে মেতে ওঠে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে অনেকেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পরে। তাই প্রযুক্তির আশীর্বাদ যেনও অভিশাপ না হয়ে যায় সেজন্য আমাদেরই সাবধানে থাকা প্রয়োজন।
মাই চিটিং এর মতে প্রযুক্তি এখন মানুষের নিয়মিত জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে। ফলে মানুষের নিজেদের মধ্যে ভাব আদান প্রদান বেড়ে গেছে এবং প্রতারণাও বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে-
- ২০১১ সালে প্রতি তিনটির মধ্যে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ফেসবুককে দায়ী করা হয়েছে।
- যুক্তরাজ্যের ১৫ মিলিয়ন মানুষ অনলাইন ডেটিং সাইট ব্যবহার করে। অথচ যুক্তরাজ্যে অবিবাহিত মানুষ আছে ১২.২ মিলিয়ন। অর্থাৎ বিবাহিতদের মধ্যেও প্রায় ৩ মিলিয়ন মানুষ অনলাইন ডেটিং সাইট ব্যবহার করে সঙ্গীর সাথে প্রতারণা করছে।
- প্রতি মাসে ৬.৩ মিলিয়ন মানুষ অনলাইন ডেটিং সাইটে লগ ইন করে।
- প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন যুগল অনলাইনে পরিচিত হয়ে সামনা সামনি দেখা করে। এবং বাকি ৪ জনই মিথ্যা বলে সম্পর্ক করে।
- সব প্রতারণাই বিচ্ছেদ ঘটায় না। দেখা গেছে যে বিশ্বাস ঘাতকতার স্বীকার ৬০% যুগলই এতো কিছুর পরেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
- তবে যারা মনে করে তাদের সঙ্গীর আবারো প্রতারণা করার সম্ভাবনা আছে তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই বিবাহ বিচ্ছেদের মত সিদ্ধান্ত নেয়।
মাই চিটিং এর কো-ফাউন্ডার ভিক্টোরিয়া কক্সেনের মতে ইন্টারনেট ও সোশাল মিডিয়া মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের ধরণটা বদলে দিয়েছে। যোগাযোগের সব মাধ্যম গুলো এখন আমাদের নখের ডগায় থাকাতে প্রতারণা করাও সহজ হয়ে গিয়েছে। ফলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
প্রযুক্তির ব্যবহারে যেমন লাভ হতে পারে, ঠিক তেমনি ক্ষতিও হতে পারে। মুঠোফোনেই পরিচিত মানুষের সাথে ভিডিও চ্যাট কিংবা ক্ষুদে বার্তা আদান প্রদানের মাধ্যমে সহজেই মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। তাই যে কেউ যে কোনো সময়ে সঙ্গীর পাশে বসেই প্রতারণা করতে পারে। ফলে সহজে ধরাও পড়ে না এ ধরণের অপরাধ। ফেসবুকের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েও প্রতারণা করা যায়।
প্রযুক্তির মাধ্যমে যেসব সম্পর্ক হচ্ছে ইদানিং তার বেশিরভাগই শুধুই প্রতারণা। নিজের সামাজিক ও পারিবারিক তথ্য গোপন করে অনেকেই নিষিদ্ধ এসব সম্পর্ক নিয়ে মেতে ওঠে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে অনেকেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পরে। তাই প্রযুক্তির আশীর্বাদ যেনও অভিশাপ না হয়ে যায় সেজন্য আমাদেরই সাবধানে থাকা প্রয়োজন।
Tidak ada komentar: প্রযুক্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে সম্পর্কে প্রতারণার হার!
Posting Komentar