শিশুরা ফুলের মতোই কোমল হয়। ফুল যেমন অনুকূল পরিবেশ না পেলে সময়ের আগেই ঝরে যায়, তেমনি শিশুরা বেড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় পরিবেশ না পেলে তাদের বিকাশ সুষ্ঠুভাবে হয় না। খেলাধুলা বা বেড়ানো শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। মফস্বলের শিশুরা তবুও খেলার জন্য মাঠ, নিদেনপক্ষে বাড়ির আঙ্গিনা পায়। ঢাকার মতো যান্ত্রিক নগরের শিশুরা খেলার এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাদের অবসর বিনোদিত হয় টিভি দেখে অথবা কম্পিউটারে গেম খেলে।
ঘরের এই বদ্ধ পরিবেশে শিশুর বিকাশ যথাযথ হবে - এটা চিন্তা করাটাই অন্যায়! একটু উন্মুক্ত জায়গা বা একটু খোলা হাওয়া শিশুর জন্য যে অবদান রাখে, বদ্ধ গৃহের অন্য সুযোগ-সুবিধা তা করতে পারে না। শিশুর মানসিক গঠনের কথা চিন্তা করে হলেও আপনার ব্যস্ততার মাঝে তার জন্য একটু সময় বের করুন। তাকে নিয়ে বেড়াতে যান বাইরে।
ঢাকার অভিভাবকরা ছুটির দিনগুলোতে শিশুকে নিয়ে যেতে পারেন চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, শিশুমেলা, ফ্যান্টাসি কিংডম বা নন্দন পার্কে। একটু বড় শিশু বা প্রাইমারি পড়ুয়া সন্তানকে নিয়ে যেতে পারেন বিভিন্ন জাদুঘরে। জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর ইত্যাদি বিভিন্ন জাদুঘর খুব সহজেই হয়ে উঠতে পারে আপনার সন্তানের আদর্শ শিক্ষক, গড়ে দিতে পারে আপনার সন্তানের ভিত। তাই সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ুন আপনার সন্তানের সাথে।
শিশুকে নিয়ে যেখানেই বেড়াতে যান না কেন কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন -
*ছোট শিশুকে নিয়ে বের হলে তার প্রয়োজনীয় জিনিস ও বাড়তি কাপড় অবশ্যই সাথে নিন।
*শিশুরা বাইরের খাবার পছন্দ করলেও এটা তাদের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাইরের খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে দিন।
*পার্কে গেলে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর এমন রাইডে আপনার সন্তানকে চড়তে দেবেন না। রাগারাগি না করে তাকে বুঝিয়ে বলুন, কেন এটাতে চড়া যাবে না।
*জাদুঘর বা শিক্ষামূলক কোনো স্থানে গেলে শিশু যাতে ভুল তথ্য না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
*শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমন কোনো আচরণ শিশু সাথে থাকাকালীন ভুলেও করবেন না।
আপনার সন্তানকে দেয়া সময় আপনাদের সম্পর্ককে আরো সহজ ও দৃঢ় করবে। আপনার প্রতি তার ভালবাসা ও শ্রদ্ধা - দুটোই বাড়বে। একই সাথে এই বিনোদনটুকু শিশুর বর্ধন ও বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
Tidak ada komentar: সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে গেলে
Posting Komentar