Jumat, 29 November 2013

বোকা মেয়ের ডায়রি- ধর্ষক যখন নিজেরই পিতা!

Sexy Hot Photos: বোকা মেয়ের ডায়রি- ধর্ষক যখন নিজেরই পিতা! .
বেশিদিন আগের কথা নয়, ইরানে এক ব্যক্তি নিজের পালক কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন বলে ছি ছি রব উঠেছিল পৃথিবী জুড়ে। যারা সংবাদটি পড়েছেন তাদের মাঝে গা শিউরে ওঠার অনুভব হয়নি একথা কেউ স্বীকার করতে পারবেন না। একজন মমতাবান পিতা হতে শুরু করে একজন কন্যা পর্যন্ত, সকলেই শিউরে উঠেছিলেন। শিউরে ওঠার মতন ঘটনা অবশ্যই। পিতা তো পিতাই, পিতৃ স্নেহে লালন করার পর একজন মানুষ কীভাবে একটি বালিকাকে দিয়ে নিজের যৌন ক্ষুধা মেটায়... কীভাবে পারে... অনেক চিন্তা করেও ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারিনি আমি। রাতের পর রাত তখন ঘুমাতে পারতাম না। একটি ছোট্ট মেয়ের কথা মনে হতো, পিচ্চি একটা এই টুকুন মেয়ে, যাকে রেপ করে যাচ্ছে নিজেরই পিতা। 

কিন্তু আজকে যা দেখলাম... আমি দুর্বল মানুষ নই, কিন্তু স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই যে আমার অন্তরাত্মা হিম হয়ে গিয়েছে সংবাদটি পড়ে। গত বৃহস্পতিবারের সংবাদ, ভারতের টাইমস ওফ ইনডিয়া সহ বেশিরভাগ প্রথম সারির পত্রিকায় এসেছে। দেখানো হয়েছে ভারতীয় টিভি চ্যানেল গুলোতেও। অনেকের ফেসবুকেই নানান রকম লিঙ্ক দেখতে পাচ্ছিলাম, এক পর্যায়ে যখন পড়তে গেলাম মনে হলো কেউ আমার মুখে কষে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিয়েছে। সংবাদটি কোন দেশের সেটি জরুরী না, কোন দেশে ঘটেছে সেটাও জরুরী না। তার চাইতে অনেক বেশি জরুরী এটাই যে সংবাদটি কি ভীষণ ভয়াবহ! পিতা তো পিতাই, দেশ-কাল-জীবনের সীমানা পেরিয়ে পিতা। সেই পিতা কি করে নিজের সন্তানকে ধর্ষণ করে? 

হ্যাঁ, নিজের কন্যাকে ধর্ষণ করে চলেছে এক ভারতীয় পিতা। না, পালক কিংবা সৎ পিতা নয়। নিজের আপন পিতা, আপন জন্মদাতা। তাও একবার দুবার নয়, একটানা ১১ বছর যাবত ক্রমাগত ধর্ষণ করে চলছে ৫০ বছর বয়সী এই পিতা তার নিজের কন্যাকে। (এই জানোয়ারকে আসলে পিতা বলা যায় কি?) মেয়েটির যখন ১৫ বছর বয়স তখন থেকে শুরু হয় এই পৈশাচিক ঘটনা, এবং পুলিশ ও মানবাধিকার কর্মীরা তাকে উদ্ধার করার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে টানা ১১ বছর যাবত। শুধু তাই নয়, ৮ বছর বয়সী একটি সন্তানও আছে কন্যার ঘরে এই পৈশাচিক লোকটার। এবং এই পিশাচ নিজের আপন কন্যাকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

এমন নয় যে লোকটার স্ত্রী বা মেয়েটার মা নেই। তিনিও জীবিত আছেন ও একই সাথে থাকেন। কিন্তু দুই অসহায় নারী কিছুতেই ঠেকাতে পারেনি এই দানব লোকটাকে। কিছু করতে গেলেই বীভৎস মারধোর ও নির্যাতন তো আছেই, পাশাপাশি আছে না খাইয়ে বন্দী করে রাখার মত পাশবিক নির্যাতন। ১৫ বছর বয়সে যে পাশবিকতার শুরু হয়, তার ফল সরূপ ১৮ বছর বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে মেয়েটি। তখন স্বামী হওয়ার ভুয়া পরিচয় দিয়ে একটি হাসপাতালে তার সন্তান প্রসব করানো হয়... 

কাহিনী আরও অনেক লম্বা। লিখতে গেলে বিশাল মহাকাব্য লেখা যায়। ১১ বছরের পাশবিক নির্যাতন ও যন্ত্রনার ভয়াবহ বিবরণ দেয়া যায়। কিন্তু সত্যি বলি, আমার মতন ক্ষুদ্র মানুষের ক্ষমতা নেই এর বর্ণনা দিতে পারি। আমার কলমে এত শক্তি নেই যে এই ব্যাপারটির ভয়াবহতার বর্ণনা দিতে পারি। 

একজন বাবা... যাদের কাজ সন্তানকে বুকে আগলে রক্ষা করা। সে কি করে পারে এমন করতে? কি করে পারে নিজের কন্যার দেহকে নগ্ন করে প্রতিদিন ধর্ষণ করতে, তার ঘরে সন্তান জন্ম দিতে? কীভাবে? তাও টানা ১১ বছর? এই দীর্ঘ সময়ে একবারের জন্যেও কি লোকটা বিবেকের তাড়না বা দংশন অনুভব করেনি? নিজের শরীরের অংশ দিয়ে যে সন্তানকে জন্ম দিয়েছে, কি করে একটা মানুষ পারে তাকে ধর্ষণ করতে? কীভাবে? 

মানুষ হিসাবে আমি লজ্জিত হই প্রতিদিন। কারো কন্যা হিসাবে ভয়ে শিউরে উঠি। আর বিধাতার সামনে প্রশ্ন একটাই বারবার- নারীর কি শরীরটাই সব হে বিধাতা? নারীর কি শরীরটাই একমাত্র পরিচয়? তার কি আর কোন পরিচয় নেই? আর কোনই কি অস্তিত্ব নেই?

কেন যেন মাঝে মাঝেই মনে হয়, খুব ভালো হয়েছে বিধাতা আমাকে একটি কন্যা দেন নি। খুব ভালো হয়েছে... এই অন্ধকার অধর্ম দিয়ে ঠাসা পৃথিবীতে আমি একজন কন্যাকে আনতে চাইনা কেবল দুঃখ ভোগ করার জন্য।

(আমি তুচ্ছ অসহায় মানুষ। কিছু করার অক্ষমতায় যখন নিজের প্রতি ঘেন্না জন্মায়, মাথা হেঁট হয়ে যায়- তখন মনে যা আসে দু কলম লিখে ফেলি। পাঠকের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কাম্য)

বোকা মেয়ের ডায়রি

Related Posts: বোকা মেয়ের ডায়রি- ধর্ষক যখন নিজেরই পিতা!

Tidak ada komentar: বোকা মেয়ের ডায়রি- ধর্ষক যখন নিজেরই পিতা!

Popular Posts
Blog Archive