প্রতিটি মানুষেরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। তার মধ্যে কোনোটি থাকে ভালো অভ্যাস আবার কোনোটি খারাপ অভ্যাস। দুটি মানুষের সম্পর্কে দুজন দু ধরণের হবে এটাই স্বাভাবিক। আর এইজন্য নানান ছোট খাটো বিষয় নিয়ে সম্পর্কে ঝামেলাও হয়। কিন্তু অনেক সময় অনেকের এমন কিছু খারাপ অভ্যাস থাকে যেগুলোর কারণে দুটি মানুষের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। অনেক সময় সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটে। আসুন জেনে নেয়া যাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ৫টি বাজে অভ্যাসের কথা।
পরীক্ষা করা
স্কুল, কলেজ ,ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা দেয়ার পর যদি সঙ্গীর কাছেও নিয়মিত পরীক্ষা দিতে হয় তাহলে যে কারোরই বিরক্ত লাগার কথা। অনেকেই তার সঙ্গীকে ক্রমাগত পরীক্ষা করতে থাকেন। বিভিন্ন রকম কাজ দিয়ে কিংবা ভনিতা করে পরীক্ষা করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। কেউ কেউ আবার সঙ্গীকে সন্দেহ করে অন্য কাউকে দিয়ে ফোন দিয়ে পরীক্ষা করেন। কিন্তু এই ব্যাপারটি আপনার সঙ্গীটি যখন বুঝতে পারে তখন সে খুবই কষ্ট পায় এবং দুজনের সম্পর্ক খারাপ হয়।
দোষারোপ করা
আপনি কি আপনার সঙ্গীকে কারণে অকারণে দোষারোপ করেন? অনেকেরই এই অভ্যাসটি আছে এবং এটা একটি খারাপ অভ্যাস। যে কোনো সমস্যায় একে অন্যকে দোষারোপ না করে দুজনের মিলে সমস্যার মোকাবেলা করা উচিত। অন্যের দোষ না ধরে দেখা উচিত নিজের কি দোষ আছে। নিজেকে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করুন। কারণ প্রতিনিয়ত দোষারোপ করলে সম্পর্কের ক্ষতি হয়।কথা বন্ধ করে বসে থাকা
খুব বেশি অভিমান করে অনেকেই কথা বন্ধ করে দেন সঙ্গীর সাথে। সঙ্গী হাজার বার কথা বলতে চাইলেও মুখ ঘুরিয়ে রাখেন অনেক। কিন্তু রাগ করে কথা বন্ধ করে রাখলে সম্পর্ক ভালো হওয়ার বদলে আরো খারাপ হয়ে যায়। কথা বন্ধ করে রাখাটা কোনো সমাধান না। বরং দুজনে মিলে কথা বার্তা বলে সমস্যা সমাধান করে ফেলুন।মোবাইল বন্ধ করে রাখা
একটু কিছু হলেই মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখাটা খুবই বিরক্তিকর একটি অভ্যাস। অনেক মানুষের মধ্যেই এই অভ্যাসটি আছে যা সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আপনার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখলে আপনার সঙ্গী আপনাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করবে এবং পরবর্তিতে আপনার উপরেই আপনার পদ্ধতি প্রয়োগ করবে। ফলে সম্পর্কটা শুধু শুধু নষ্ট হবে। তাই ঝগড়া-ঝাঁটি হলে ফোনটা বন্ধ করে না রেখে খোলাই রাখুন। ফোন ধরতে ইচ্ছে না করলে একটি মেসেজ পাঠিয়ে দিন যে আপনি পরে কথা বলবেন।
Tidak ada komentar: যে ৫টি বাজে অভ্যাস ফাটল ধরায় সম্পর্কে!
Posting Komentar