কিছুদিন আগেই বিয়েটা হয়েছে। এখন কেমন যেন অস্থির লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় বিয়ের সিদ্ধান্তটা নিজেরই নেয়া উচিত ছিলো, পরিবারকে দায়িত্ব দেয়াটা ঠিক হয়নি। স্বামীর সাথে ছোট খাটো বিষয় নিয়েই মনোমালিন্য হয়। আর বিয়েটা পরিবারের সিদ্ধান্তে হয়েছে বলে স্বামীকে মন থেকে পুরোপুরি মেনেও নিতে পারছেন না এখোনো। কি করবেন, কাকে বলবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না!
যারা পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করে তাদের অনেকেই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যারা পড়েছেন না পারছেন কাউকে জানাতে আবার না পারছেন সইতে। পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেও সুখী জীবন যাপন করা সম্ভব। কিন্তু এক্ষেত্রে হবু পাত্র বা পাত্রীর সাথে যেহেতু আগে থেকে পরিচয় থাকে না, তাই মানিয়ে চলার জন্য নিজেকেই অনেক কিছুতে ছাড় দিতে হবে। বিয়ের সাথে সাথেই সব কিছু আপনার মন মতো না পেলেও ধীরে ধীরে ধৈর্য ধরে সঙ্গীকে আপনার পছন্দ অপছন্দ গুলো জানাতে হবে। তাহলেই পারিবারিক সিদ্ধান্তে করা বিয়েতেও আপনি হতে পারবেন সুখী। আসুন জেনে নেয়া যাক পারিবারিক সিদ্ধান্তে করা বিয়েতে মানিয়ে চলার ৫ টি উপায়।
যারা পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করে তাদের অনেকেই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যারা পড়েছেন না পারছেন কাউকে জানাতে আবার না পারছেন সইতে। পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেও সুখী জীবন যাপন করা সম্ভব। কিন্তু এক্ষেত্রে হবু পাত্র বা পাত্রীর সাথে যেহেতু আগে থেকে পরিচয় থাকে না, তাই মানিয়ে চলার জন্য নিজেকেই অনেক কিছুতে ছাড় দিতে হবে। বিয়ের সাথে সাথেই সব কিছু আপনার মন মতো না পেলেও ধীরে ধীরে ধৈর্য ধরে সঙ্গীকে আপনার পছন্দ অপছন্দ গুলো জানাতে হবে। তাহলেই পারিবারিক সিদ্ধান্তে করা বিয়েতেও আপনি হতে পারবেন সুখী। আসুন জেনে নেয়া যাক পারিবারিক সিদ্ধান্তে করা বিয়েতে মানিয়ে চলার ৫ টি উপায়।
কথা বলে নিন
বিয়ের আগেই সম্ভব হলে সঙ্গীর সাথে নিজের পছন্দ অপছন্দ গুলো মন খুলে আলাপ করে নিন। তাঁকে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা গুলোও কৌশলে জানিয়ে দিন। এছাড়াও ব্যক্তিগত কোনো বিষয় যদি জানানো জরুরী মনে হয় তাহলে সেগুলোও জানিয়ে দিন। আর যদি বিয়ের আগে সেভাবে কথা বলে নেয়ার সুযোগ না হয় তাহলে বিয়ের দিন রাতে কিংবা বিয়ের পরে দুয়েক দিনের মধ্যেই কথা বলে নিন। সঙ্গীর সাথে গল্প করলে দুজনেরই জড়তাও কেটে যাবে, সেই সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতাও বাড়বে।
অভিযোগ করবেন না
দুজন মানুষ দুই ধরনের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। তাই দুজনের অনেক ব্যাপারেই মতের অমিল কিংবা মন কষাকষি হতে পারে। এছাড়াও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথেও বিভিন্ন ছোট খাটো ঝামেলা হতে পারে আপনার। কিন্তু এসব কোনো ব্যাপার নিয়েই সঙ্গীর কাছে অভিযোগ করা ঠিক না। কারণ নতুন সম্পর্কের শুরুতেই খুব বেশি অভিযোগ কিংবা দোষারোপ করলে দুজনের সম্পর্কটা অহেতুক খারাপ হয়ে যাবে।অল্প সময়েই পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না
অনেকেই জোর করে স্বামীকে বা স্ত্রীকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন। পরিবারের পছন্দে বিয়েতে যেহেতু সঙ্গীকে আগে থেকে জানার সুযোগ থাকে না তাই এই ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা আরো বেশি হয়। দুজনেরই মনে রাখা উচিত যে প্রত্যেকেরই কিছু ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ, ইচ্ছা ও শখ আছে। বিয়ের পর পরই তাদেরকে জোর করে পরিবর্তন করতে চাইলে প্রথমেই আপনার সম্পর্কে আপনার সঙ্গীর খারাপ ধারণা হয়ে যাবে।শ্বশুর বাড়ির মন জুগিয়ে চলুন
পরিবারের পছন্দে বিয়েটা যেহেতু দুই পরিবারের সদস্যরাই ঠিক করে তাই স্বামী স্ত্রী দুজনেরই উচিত তাদের পছন্দের মূল্য দেয়া। আপনাকে যারা পছন্দ করে ছেলের বৌ কিংবা মেয়ের জামাই বানিয়েছেন তাদেরকে ভালোবাসুন এবং সম্মান করুন। তাদেরকে মাঝে মাঝে উপহার দিন এবং নিয়মিত খোঁজ খবর রাখুন। আপনার সঙ্গীটি যখন দেখবে যে তার পরিবারের সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো তখন স্বাভাবিক ভাবেই আপনার প্রতি তার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ বাড়বে।
Tidak ada komentar: পারিবারিক বিয়েতে নিজেকে মানিয়ে নিন ৫টি উপায়ে!
Posting Komentar