আপনার আর তার মধ্যে সম্পর্কটা খুব বেশিদিনের নয়। মাত্র একটা বছর পার করেছেন দুজনে এক সাথে। এর মধ্যে ঝগড়াও হয়েছে বহুবার। কিন্তু যতবারই ঝগড়া হচ্ছে আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে ঝগড়া হচ্ছে আপনার ততবারই সে আপনাকে ‘সেলফিশ’ বা স্বার্থপর বলছে। কিন্তু কেন? আসলেই কি আপনি আপনাদের সম্পর্কে স্বার্থপরের মত আচরণ করেন?
অনেকেই তার সুন্দর সম্পর্কটাকে নষ্ট করে দেয় কেবল মাত্র স্বার্থপরের মত আচরণ করে। অথচ যে ব্যক্তি স্বার্থপরতা করছেন তিনি নিজেও বুঝতে পারেন না যে তিনি সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বার্থপর। কিন্তু তার এই স্বভাব তার সঙ্গীর জীবন অতিষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। স্বার্থপরতার কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো মিলিয়ে নিয়ে আপনি নিজেই জেনে নিতে পারবেন আপনি স্বার্থপরতা করছেন কিনা। আসুন জেনে নেয়া যাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বার্থপরতার ৫টি লক্ষণ।
অনেকেই তার সুন্দর সম্পর্কটাকে নষ্ট করে দেয় কেবল মাত্র স্বার্থপরের মত আচরণ করে। অথচ যে ব্যক্তি স্বার্থপরতা করছেন তিনি নিজেও বুঝতে পারেন না যে তিনি সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বার্থপর। কিন্তু তার এই স্বভাব তার সঙ্গীর জীবন অতিষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। স্বার্থপরতার কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো মিলিয়ে নিয়ে আপনি নিজেই জেনে নিতে পারবেন আপনি স্বার্থপরতা করছেন কিনা। আসুন জেনে নেয়া যাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বার্থপরতার ৫টি লক্ষণ।
সব সময়ে কেবল নিজের কথাই বলেন
সারাদিন পরে বাসায় এসে আপনার সঙ্গীকে আপনি জিজ্ঞাস করেন যে তার দিনটা কেমন কাটলো? নাকি নিজেই বলা শুরু করেন এটা হয়েছে ওটা হয়েছে। তার কথা একবারও জিজ্ঞেস না করে যদি নিজের কথাই সারাক্ষণ বলতে থাকেন তাহলে আপনি সম্পর্কের ব্যাপারে স্বার্থপর। কারণ আপনার সঙ্গী সবসময়েই আশা করে থাকে যে আপনি তার কথা জিজ্ঞেস করবেন এবং তার সুবিধা অসুবিধা জানতে চাইবেন। কিন্তু আপনি যদি তা না করে শুধু মাত্র নিজেকেই জাহির করতে চান তাহলে আপনার সঙ্গীর আপনাকে স্বার্থপর বলাটাই স্বাভাবিক।
সঙ্গীর ওপর আপনার কাজের প্রভাব বিবেচনা করেন না
আপনি হুট করে আপনার সঙ্গীকে একটি হুকুম করে বসলেন, অথচ একবার চিন্তাও করে দেখলেন না যে তার পক্ষে সেটা করা সম্ভব কিনা। অথবা আপনার সঙ্গী অসুস্থ কিন্তু আপনি সেটা বিবেচনা না করে একগাদা কাজ চাপিয়ে দিলেন। আপনার যদি এ ধরণের অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত স্বার্থপর। যে কোনো কিছু করার আগে এবং বলার আগে ভেবে নেয়া উচিত আপনার সঙ্গীর উপরে সেটার কেমন প্রভাব পড়বে। সঙ্গীর কথা একেবারেই না ভেবে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে বা সঙ্গীর উপর কিছু চাপিয়ে দিলে সেটা স্বার্থপরতার পরিচয় বহন করে।সব কিছুতেই ‘না’ বলে দেন
আপনার সঙ্গী আপনার কাছে কোনো অনুমতি চাইলে কিংবা আবদার করলে কি আপনি সরাসরি না করে দেন? যদি তাই হয় তাহলে আপনি আপনার সম্পর্কের ব্যাপারে স্বার্থপর। কারণ ভালো মন্দ বিচার না করে এবং আপনার সঙ্গীর মনের চাহিদা না ভেবে ‘না’ বলে দেয়া ঠিক না। এতে আপনার সঙ্গীর মন ভেঙ্গে যাবে এবং সে আপনাকে স্বার্থপর বলবে। তাই সঙ্গীর আবদার কিংবা চাহিদায় হুট করে চিন্তা ভাবনা ছাড়াই ‘না’ বলা উচিত না। এক্ষেত্রে ভালো করে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। যদি নেতিবাচক উত্তর দিতে হয় তাহলে তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন।সঙ্গীর উপর জোর করেন
অনেকেই সঙ্গীর উপর জোর করে নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। কেউ কেউ আবার সঙ্গীর পছন্দের শখ যেমন গান গাওয়া, নাচ অথবা অভিনয় করাকে বন্ধ করে দেয়ার হুকুম দেন। এছাড়াও সঙ্গীর পোশাক, পছন্দ কিংবা খাদ্যাভ্যাসও অনেকেই জোর করে পরিবর্তন করিয়ে নেন। যে কোনো পরিস্থিতিতেই সঙ্গীর উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেয়া ঠিক না। কারণ এতে আপনার সঙ্গীর আপনার প্রতি বিরূপ ধারনা সৃষ্টি হবে এবং আপনাকে স্বার্থপর ভাববে। তাই সঙ্গীর উপর জোর করে আপনার পছন্দ বা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
Tidak ada komentar: সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়ার ৫টি লক্ষণ!
Posting Komentar