আমার নিজের একটা বন্ধু-মহল আর তৈরি হয়নি । ভার্সিটির শুরুটা আমার ভালো লাগেনি। ২০১২ এর স্প্রিং এ অ্যাডমিশন নেয়ার পর ক্লাস এ গিয়ে বুঝলাম নিজেদের সাথে মিশে যাচ্ছে । বিশেষ করে ছেলে এবং মেয়েরা। আমি নতুন কোথাউ গেলে বরাবরই একটু খুব কম কথা বলি। তবে কোথাউ মিশে যেতে পারলে আমার এইসব সমস্যা থাকেনা। তবে সেটার জন্য আমার অনেক সময় দরকার হয়। আমি ১ বছর আগে সেই সময় টুকু পাইনি। মোটামুটি সমবয়সী মানুষ গুলা থেকে ভালো রকমের ব্যবহার এর অভাবে আমি ক্লাস এ যেতে চাইতাম না।
তখন ভর্তি হলাম কোচিং এ। ২য় বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার, মজার ব্যাপার হলো আমি পরীক্ষা টা আর দিতে পারিনি। একটা ভুলের কারনে আমি অ্যাডমিট কার্ড নিতে পারিনি। এর পর ব্যাক করলাম আমার সেই EWU তে। মাঝে দিয়ে EWU এর একটা ছেলের সাথেই সুন্দর করে প্রনয় এর সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেটা এক বিশাল কাহিনী। সেটা অন্য একদিন বলবো। তো যাই হোক, এই বছর ভার্সিটি তে ব্যাক করার পর দেখি মোটামুটি ক্লাসমেট গুলা ভালোই পেয়েছি। সবাই মিশুক প্রকৃতির। তবুও যেটা হয়, ওর সাথে থাকতাম ক্লাস শেষ হবার পর। এর ফলে আমার সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব কারো সাথে হয়ে উঠেনি। ওরা নিজেরা সেম ব্যাচের। আমি একটু পুরাতন পচা ছাত্রী।
যখন ওর সাথে আমার ব্রেক-আপ হয় তখন একদম একা হয়ে পড়ি। এখনও আমার ভার্সিটিতে ভালো বন্ধু-বান্ধব নাই। সেই যে বললাম, কোথাউ মিশতে গেলে আমার একটু সময় দরকার হয়, কিন্তু সেটা আজও হয়নি। সেই সুযোগ টাও পাইনি।
আমাকে অনেকে বলে তুমি তো কারো সাথে কথা-ই বলো না, আমার প্রশ্ন আমাকে কতটুকু বলার সুযোগ দিয়েছো ? আমি তোমাদের মতো হতে পাড়ি না, আমি এমনই। তবে তোমাদের মনে হয়তো কখনো আসে না যে আমার মতো মানুষ থাকতে পারে। যাই হোক এটা আমার একটা সমস্যা, তোমাদের না।
দেখতে দেখতে ভার্সিটির আইডি কার্ড এর বয়স ২ হয়ে এলো কিন্তু আমি ১ বছর মানে ৩ সেমিস্টার শেষ করার পথে। তবুও আজও বুঝিনা ভার্সিটি লাইফ এর মজা।
আমার কাছে মজা লাগেনা কারন কি আমার সেখানে ফ্রেন্ড নাই সেই জন্য?
যারা বলে ভার্সিটি লাইফ অনেক মজার তাদের কথা শুনতে বিরক্ত লাগে। ভার্সিটি মানে অনেক গুলা পচা আমার কাছে ভার্সিটি মানেই ক্লাস করা, পচা পচা অনেক বড় বড় লেকচার, অ্যাসাইন্মেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট , পরীক্ষা আর ক্লাস আর ক্লাস অনেক অনেক বিরক্তিকর।
জান্নাত মিম /ফেইসবুক
Tidak ada komentar: আজও বুঝিনা ভার্সিটি লাইফ এর মজা।
Posting Komentar